‘দুর্নীতির মাথা কে? নাম বলুন। ভয় পেলে আপনাকে নিরাপত্তা দেব’। এজলাসে এভাবেই প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে চেপে ধরলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের আরও বড় নির্দেশ, যতক্ষণ না সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, তিনি তাঁর পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। আদালতের আরও নির্দেশ, এই ১৯১১ জনকে তাঁদের এতদিনের বেতন ফিরত দিতে হবে। পাশাপাশি তাঁরা আর কোনওদিনও সরকারি চাকরিতে বসতে পারবেন না। বিচারপতি এদিন বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল’। কিন্তু এই সুপারিশ কে দিয়েছিলেন, সেই নামটাও এবার প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। আর সেই নির্দেশ বর্তেছে সুবীরেশের ওপরেই। প্রয়োজনে তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
এদিনের শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতে স্বীকার করেন, ১৯১১ জনের চাকরি বেনিয়মে হয়েছে। তখন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, তাহলে সে সময়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান কে ছিলেন? বিচারপতি জানান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তখনই তাঁকে এই মামলায় পার্টি করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আদালতে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২, ৮১৯ জনের উত্তরপত্র গরমিল হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। তখন বিচারপতি বলেন, “আপনারা যখন জানেনই কারচুপি হয়েছে, তাহলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করছেন না কেন? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ‘বেনিয়মে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করুন, কমিশনের সাইটে আপলোড করুন ও চাকরি বাতিল করুন’।