মহাকালের খেলায় স্বয়ং তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে কে-ই বা পেরেছে?

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিসরেইলি যে কনসারভেটিভ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, পরবর্তী কালে উইন্সটন চার্চিলও সেই পার্টির সদস্য হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এই দুই প্রধানমন্ত্রীরই অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সনাতন ধর্মের মানুষদের ডিমরালাইজ করা এবং তার মাধ্যমে ভারতবর্ষের সম্পদ শোষণ করা। এঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারতবর্ষকে নিশ্চিন্তে শোষণ করতে গেলে সনাতন ধর্মের মানুষদের মনে তাদের ভাবধারা সম্বন্ধে হীনমন্যতার জন্ম দিতে হবে এবং তাদেরকে ভাঙ্গতে হবে ভিতর থেকে। সনাতন ধর্মই সেই ভাবধারা যার সঙ্গে ছিল বৃটিশের আদত শত্রুতা। তারা যা কিছু করেছিল তার কেন্দ্রীয় উদ্দেশ্য ছিল সনাতনকে পরাস্ত করা।

সেই বেঞ্জামিন ডিসরেইলি, সেই উইন্সটন চার্চিলের সেই একই চেয়ারে আজ বসেন বর্তমান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং তিনিও বেঞ্জামিন ডিসরেইলির স্থাপিত সেই কনসারভেটিভ পার্টিরই সদস্য। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আজ পালিত হয় সনাতন ধর্মের সমস্ত পূজা, পাঠ, উৎসব, নিয়ম ও নীতি কারণ ডিসরেইলি, চার্চিলের এই উত্তরসূরী একজন প্র্যাকটিসিং হিন্দু। মহাকালের ইঙ্গিতের এতদপেক্ষা বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে?

এবং এই সেই সময় যখন বৃটিশ মিউজিয়াম ভারতকে ফিরিয়ে দিতে চলেছে শিবাজী মহারাজের সেই অস্ত্র— বাঘনখ!! এই সেই অস্ত্র যে অস্ত্র দিয়ে আফজল খাঁ তাঁর পিঠে ছোরা বসানোর আগেই আফজল খাঁর বুক চিরে দিয়েছিলেন শিবাজী।

মহাকালের খেলায় স্বয়ং তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে কে-ই বা পেরেছে?

দেবযানী ভট্টাচার্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.