WHO-র ছাড়পত্র পেল ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন, ব্যবহার হবে জরুরি প্রয়োজনে

হু অর্থাৎ ডাব্লুএইচও এর অনুমোদন পেল ফাইজার এবং বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন। জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনকে অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডাব্লুএইচও জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে অবস্থিত তাঁদের আঞ্চলিক অফিসগুলির মাধ্যমে তাঁরা এই ভ্যাকসিনের সুবিধা সম্পর্কে দেশগুলির সঙ্গে কথা বলবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাইজারের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দরিদ্র দেশগুলিতে করোনার ভ্যাকসিন আনতে জরুরী ব্যবহারের তালিকা প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই তালিকায় নাম ওঠার পরে যে কোনও করোনা ভ্যাকসিন সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হবে।

আমেরিকা, ব্রিটেন সহ এক ডজন দেশে ইতিমধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়েছে। এবার অনুমতি দিল হু-ও।

অন্যদিকে ভারতেও জোর কদমে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের প্রস্তুতি। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২ জানুয়ারি থেকে দেশের প্রতিটি রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই-রান শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এখন অবধি দেশের ৪ টি রাজ্যে এমন ড্রাই রান শুরু করা হয়েছিল। এই চার রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পঞ্জাব, অসম, গুজরাত, এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এখন অবধি রিপোর্ট মোতাবকে এই চার রাজ্যে ড্রাই রানের রিপোর্ট ভালো। এরপরেই সমগ্র দেশে ড্রাই রানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চলেছে কেন্দ্র।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাজ্যগুলিকে তাদের দুটি শহর ড্রাই রান চালানোর জন্য চিহ্নিত করতে হবে। এই দুটি শহরে পুরো কাজ হবে এমন করে যেন ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ হচ্ছে। অর্থাৎ শহরে ভ্যাকসিন পৌঁছানো, হাসপাতালে সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া, লোকদের ডেকে আনা, তারপরে ডোজ দেওয়া – সব কাজই অনুসরণ করা হবে।

এছাড়াও কেন্দ্র করোন ভ্যাকসিন সম্পর্কে যে কোভিন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে তারও ট্রায়াল চালানো হবে। ড্রাই রান চলাকালীন যাদের টিকা দেওয়ার দরকার তাঁদের এসএমএস পাঠানো হবে। এরপরে, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দেওয়ার কাজ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.