ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ছাড়পত্র পায়নি। আর সেই ছাড়পত্র না মিললে কোভ্যাকসিন টিকা নিয়ে অন্যান্য দেশে যেতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে ভারতীয়দের। হু-র কাছে আগেই আবেদন করা হয়েছে। রিভিউ হওয়ার পর তবেই ছাড়পত্র দেওয়ার কথা। আজ, মঙ্গলবারের বৈঠকে ভারতের সেই ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ দিনের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে অবশ্যই থাকবে কোভ্যাকসিন। কোভ্যাকিসনের আবেদন নিয়েও হবে আলোচনা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি মাসেই ছাড়পত্র পাবে কোভ্যাকসিন। হু-এর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্ট অন ইমিউনাইজেশন-এর বৈঠক শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। চার দিন ধরেই চলবে এই বৈঠক। আজ আলোচনার তালিকায় থাকবে কোভ্যাকসিন।
এখনও পর্যন্ত মোট ৬টি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে হু। এর মধ্যে রয়েছে ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও সিনোভ্যাক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর, সংস্থাতে ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়া কোনও কিছু বা জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র চেয়ে কোনও আবেদন জমা পড়লে, সেক্ষেত্রে চুড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। ছাড়পত্র বা অনুমোদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে যদি কোনও পণ্য জমা পড়ে সেক্ষেত্রে সেই পণ্য অনুমোদনের বিষয়টি ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করে হু। হু -এর মতে জরুরি ব্যবহার তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ার সময়কাল নির্ভর করে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকের জমা দেওয়া তথ্যের গুণমান এবং হু -এর মানদণ্ড পূরণকারী তথ্যের গুনমানের ওপর।
সম্প্রতি ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। টুইটে সংস্থাটি জানিয়েছিল কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য ২০২১ সালের জুন মাসে হু- এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে জরুরি ভিত্তিতে টিকা ব্যবহারের করার আবেদন করা হয়েছে। হু- এর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া সব প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছে ভারত বায়োটেক।