২০ -৩০ বছর আগে করা নৃশংস ঘটনা হোক আর দেশ বিরোধী কাজ হোক, অথবা সমাজের যুবকদের পাতে মেরে দেওয়া হোক। সবটাই খুব পরিকল্পিত ভাবে বামপন্থীরা করে এসেছে। বর্তমানে তারা দেখছে হিন্দুত্ববাদ একটা স্রোতে চলছে। টিকে থাকতে শিবির বদলাতে হবেনা কিন্তু একটা বিশ্বাস যোগ্য মুখোশ দরকার।
যেটা সাধারণ হিন্দু বুঝতে পারবেনা। নিজেদের ভিত মজবুত করে আজ তারা তাদের পূর্ব পুরুষের করা সেই পরিকল্পিত ঘটনা গুলো ঐতিহাসিক ভুল বলে একটা দিন অব্দি লম্বা লম্বা পোস্ট লেখা নামিয়েছে।
এই পোস্ট গুলো ছিল মুখোশ, বা এখনো আছে। এবার সেই মুখোশের আড়ালে দারুন একটা ফ্যান বেস তৈরি করেছে। এতটাই মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছে বর্তমান হিন্দুত্ববাদী ছেলে মেয়েরা যে ,তারা এখন সেই এক্স বামপন্থীরা যা বলছে সেটাই গুরুর বাণী হিসেবে মেনে চলছে। অন্ধ ভক্ত কথাটা ভুল নয়, ১০০% সত্য। সামনে বলা হয়েছে মোদীর অন্ধ ভক্ত, আসলে এক্স বামপন্থীরা ওদের বানিয়েছে নিজেদের অন্ধ ভক্ত।
এখন সংগঠন বিরোধী হোক বা দল বিরোধী কথা। গুরু যাহা বলবে সেটাই ধ্রুব সত্য।
আসলে এক্স বামপন্থী নয়, তারা সদা সর্বদা মনে প্রাণে বামপন্থী ছিল আছে থাকবে।
নীল সাদা সরকার ভেসে না গেলে তাদের ফিরে আসা সম্ভব না। এটা তাদের নেতাও বলেছিল। তাই অন্ধ ভক্ত গুলোর মাথাতে হাত বুলিয়ে গেরুয়া সরকার আসবে তারপরেই হবে আগাম খেলা।
এখন এই মুহূর্তে গেরুয়া আসা সময়ের অপেক্ষা, তাই পরবর্তী পর্যায়ের ,বা পরবর্তী ধাপ নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। তাতে তারা এই মুহূর্তে দারুন সফল।
কেন?
দল বিরোধী কথা দেখবেন ঠিক তাদের মুখে বেশি, যারা একদা গেরুয়া পন্থী সমর্থক ছিল এবং এখনো আছে কিন্তু আজ তাদের দিয়েই অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা করে চলেছে বামপন্থীরা।
আগামী দিনে অন্ধ ভক্তদের পরিচয় হবে বঙ্গের রাজনৈতিক গিনিপিগ।
ওরা আপনাকে একটা ট্র্যাক দেখিয়ে দেবে যে পথে হাঁটলে আপনি কত বড় হিন্দু সেটা প্রমাণ হবে। ঠিক সেই লাইনেই দেখবেন , আপনার মূল্যায়ন হবে। মনে করে দেখুন , একটা সময় থেকে চলে আসছে শুধু মাত্র দুটো ক্লাবের লড়াই। কেমন? বাঙাল ঘটি।
ঠিক একই ভাবে বঙ্গে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি চাকরি হল সম্মানের একমাত্র মাপকাঠি। এই ট্র্যাক ধরে চলতে গিয়ে বাঙালি ব্যবসা ভুলে গেছে। শুধু ভুলে গেছে তা নয়, মগজে ঢুকে গেছে ব্যবসা বাঙালির জন্য নয়। এবার আপনি যখন ফিরতে পারবেন না তখনই আপনার সামনে আনা হয়েছে বিভেদের অপর একটি ট্র্যাক। সেটা হল, অবাঙালি এসে বঙ্গে বসে ব্যবসা করে সব তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
একটা জাতিকে শেষ করতে তাকে সর্বদা মূল পথ থেকে সরিয়ে রাখতে হয়। সেটা যুদ্ধ দিয়ে হোক আর বিভেদের পথে হোক। আপনি ব্যস্ত থাকবেন বাঙাল ঘটি নিয়ে, আপনি ব্যস্ত থাকবেন বাঙালি অবাঙালি নিয়ে অথচ আপনাকে রাস্তা দেখানো ছেলেটি বড় কোনো প্রাইভেট সংস্থার কর্মচারী বা বিদেশে বসে আছে।
ঠিক একই ভাবে আপনি যখন আপনার রক্ত জল করে সংগঠন মজবুত করেছেন আগামী দিনের ভালো হবে মনে করে ওরা তখন নিজেকে তৈরি করেছে। নিজের ভিত মজবুত করে আজ তারা প্রথমেই আপনাকে নিজের ভক্ত তৈরি করেছে, তারপর আপনাকে দিয়েই আপনার তৈরি করা সংগঠনে প্রভাব তৈরি করে আপনার সংগঠনের বিরুদ্ধেই তাদের লেলিয়ে দেবে। ওই যে আগেই বললাম, আপনাকে আমাকে সংগঠনের ভেতরে তৈরি করে দেওয়া অসন্তোষ সামলাতে এতটাই ব্যস্ত করে দেবে যে আপনি বাকি কোনো গঠনমূলক কাজ করতেই দেবেনা। এবার সেই কারণে কাজের যে প্রতিশ্রুতি আপনি দেবেন সেটা বাস্তবায়িত না হলে আজকের চুপ করে থাকা স্বঘোষিত নিরপেক্ষ দলটি শুরু করবে আরেকটা প্রচার, আপনার দল বা সংগঠন প্রতিশ্রুতি পালন ব্যর্থ। একদিন ঠিক সংগঠন বা দল খোকলা হয়ে যাবে। তারপরেই তাদের পথ সুগম হবে।
এটার সাথে ২০১৪ থেকে কেন্দ্র বিরোধী প্রতিটা আন্দোলনের রূপ দেখুন। প্রতি ক্ষেত্রে বামপন্থীরা সামনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। হ্যা, তারা সফল হচ্ছে না কোনো ভাবেই। কিন্তু সেই সঙ্গে যেটা করতে সফল সেটা হল সরকারকে উন্নয়নমূলক কাজ থেকে সরিয়ে রাখতে পারছে।
চাকরি, ব্যবসা, অথবা মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যে অসন্তোষের কথা আপনি শুনতে পাচ্ছেন সেটা এইভাবেই তৈরি করা। দিনের ১০ ঘণ্টা যদি আপনি চাষের কাজ করার ক্ষমতা রাখেন, এবং সেটার মাঝে যদি জমি বা বাগান সুরক্ষা করতেই যদি ৫ঘণ্টা চলে যায় তাহলে আপনি ৫০% সফলতা পেয়েছেন। বাকিটা কি করে কভার করবেন? পারবেন না। এরপর আপনার পরিবারে অসন্তোষ দেখা যাবে এবং ঠিক তখনই বাইরের কোনো শক্তি এসে আপনার পরিবারে ভাঙন তৈরি করবে।
অতনু লাহা