এইরকম দুটি নিরস বিষয় ও তাদের সম্পর্ক নিয়ে যখন আমাকে একটা প্রবন্ধ লিখতে বললেন আমার সম্পাদক, আমি কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র চরিত্র খোজা শুরু করলাম, যাদের আপামর ভারতবর্ষ চেনে l আর প্রথমেই মনে পড়লো ‘ থ্রী ইডিয়টস’ ছবির দুটি চরিত্র l সুহাস ট্যান্ডন এবং ফারহান কুরেশি l সুহাস IIT দিল্লি ( যদিও চলচিত্রে নাম বদলে দেয়া হয়েছে ) থেকে পাশ করে বিদেশে গিয়ে MBA করে ব্যাংকে ( সম্ভবত ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং এ ) কাজ করা শুরু করে l আর সেইজন্য আমির খান তথা রাঞ্চো তাকে গাধা বলে l আর ফারহানের ইচ্ছা ছিল ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির l কিন্তু বাবার চাপে সে পড়তে আসে ইঞ্জিনিয়ারিং l কিন্তু ওই প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে অন্যকোন রাস্তা খোলা ছিল কি? ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে ফোটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করা কেউ ভাবতে পারতো? কোটি কোটি টাকা খরচা করে সরকার IIT /IIM থেকে মানবসম্পদ তৈরি করতো কিন্তু তাদের নিজের বিষয়ের চাকরি কোথায়? আর যে চাকরি তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল, তা কি তাঁদের যোগ্যতার সঙ্গে মানানসই? শুধুমাত্র সরকার তাদের শিক্ষার জন্য খরচ করেছে বলে কি আমরা IIT খড়্গপুরের একজন ইলেক্ট্রিকালের স্নাতককে CESC তে কাজ করতে বলতে পারি? কিংবা একজন মেটালার্জির স্নাতককে বালাজি ষ্টীলে?
১৯৪৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত দেশের শিক্ষিত বেকারদের জন্য মূলতঃ দুটো রাস্তা খোলা ছিল l হয় দেশ থেকে পালাও, নয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় চাকরি করো l বাকিদের দুর্দশা জানতে হলে রমাপদ চৌধুরী, শঙ্কর, বাণী বসু কিংবা সুচিত্রা ভট্টাচাৰ্যদের উপন্যাসের নায়ক নায়িকারাই সাক্ষী দেবে l নতুবা নারায়ণ সান্যালের বন্ধু তথা সত্যকাম গল্পের নায়ক সেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সত্যপ্ৰিয় আচার্য l এদের অবস্থা বঙ্কিমচন্দ্রের ভাষায় ‘জালনিবদ্ধ রোহিত’ l আর ১৯৯১ এর পরে যদি উদাহরণ দিতে হয়, তবে কিন্তু ৯৫% ক্ষেত্রে যুবকযুবতীরা নিজেকে সুহাস ট্যান্ডনের সঙ্গে মেলাতে পারবে, রাঞ্চোর সঙ্গে নয় l ব্রেনড্রেইন শব্দের সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের দেশ পরিচিত l কিন্তু নরসিমা রাও/ অটল বিহারি বাজপেয়ীরা দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করলে আরও একটি নেতিবাচক নতুন শব্দ যোগ হয় ভারতীয়দের কথ্য ভাষায় l সেটা হল ‘ল্যাটেরাল ব্রেনড্রেন’ l আর এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতেই এই যুগ্ম ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের মাত্র কয়েক মাসের ব্যাবধানে l প্রথমটি আত্মনির্ভর ভারত, দ্বিতীয়টি, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি l
এখন ব্রেনড্রেন কি এবং ল্যাটেরাল ব্রেনড্রেনই বা কি? সহজ ভাষায় একটি ছেলে পাশ করে সুযোগের অভাবে দেশ ছেড়ে চলে গেলে তাকে বলে ব্রেনড্রেন l সাধারণ মানুষের বহুদিনের অভিযোগ ছিল কেন এরা দেশ ছেড়ে চলে যায় l এই প্রসঙ্গে IIM কলকাতার উদ্বোধনে এসে তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই বলেছিলেন, ‘এটা আর্থিক স্বাধীনতার যুগ l তাদের চলে যাবার পূর্ণ অধিকার আছে l’ প্রসঙ্গত, মোরারজি একমাত্র প্রথম শ্রেণীর রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যিনি খোলাখুলি নেহরুভিয়ান অর্থব্যাবস্থার বিরোধিতা করতেন, নিজে অর্থমন্ত্রী হয়েও l শাস্ত্রীজির মৃত্যুর পর, ১৯৬৬ থেকে ১৯৯১, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কিংবা সরকারি দপ্তর ছাড়া আর কোন চাকরির সুযোগ ছিল না l সোভিয়েত রাশিয়ার অনুপ্রেরণায়, ইন্দিরা গান্ধী একে একে বিদেশী সংস্থাকে অর্ধচন্দ্র দেয়া শুরু করেন এবং তাঁরা দেশি ব্যাবসায়ীদের তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট বেচে চলে যান l দেশি ব্যাবসায়ীরা কেউ কারখানা চালাতে ব্যর্থ হল এবং বাকিরা উৎপাদিত দ্রব্যের বাজার পেতে ব্যর্থ হল l ফলে অচিরেই কলকাতা, মুম্বাইসহ সারাদেশের বেসরকারী সংস্থা ভেঙে পড়লো l এর সরাসরি প্রভাব পড়লো ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা, ITI এবং বাণিজ্য স্নাতকদের চাকরিতে l এরসঙ্গে লাইসেন্স ও কোটা রাজের দৌলতে মার্কেটিং জীবিকা প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়লো। স্টক মার্কেট চালাতো অনভিজ্ঞ আইএএস অফিসার ও অসৎ দালালরা। ফলে, ফিনান্স বা বাণিজ্য বিভাগের বিদ্যার কোন প্রয়োগ একপ্রকার বাজারে ছিলও না। সত্যিকথা বলতে বাজারই ছিল না। সোভিয়েত রাশিয়াকে অন্ধের মত নকল করা এবং বাজার শব্দকে ঘৃণা করা সেই যুগের অর্থনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার একটা মাপকাঠি ছিল। ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন অশোক মিত্র, অর্জুন সেনগুপ্ত, ওয়াই বি চবান, চিদাম্বরম সুব্রহ্মনিয়ামের মত কট্টর বামপন্থিরা l অমর্ত্য সেনকে ইন্দিরা গান্ধী অর্থমন্ত্রী হবার অনুরোধ করেন যা ডঃ সেন প্রত্যাখ্যান করেন (নিন্দুকেরা বলে, এটাই ডঃ সেনের দেশের প্রতি সবচেয়ে বড় অবদান) l এই জাঁতাকলে পরের ২৫ বছর দেশের যুবকরা ফেঁসে যায় l শুরু হয় স্মাগলিং, চোরাপাচার ইত্যাদি l হিন্দি সিনেমায় প্রাণ, অজিত, প্রেম চোপড়া, আমজাদ খান, অমরিশ পুরীরা অধিকাংশ সময়েই এই স্মাগলারের ভূমিকায় অভিনয় করতেন l প্রসঙ্গত ১৯৯১ এর পর স্মাগলার ভিলেনের সংখ্যা রাতারাতি কমে যায় l ভিলেন হবার দায়িত্ব নেয় আমাদের দেশের নেতারা l
১৯৯১ সালে নরসিমা রাও বিশ্বায়ন, উদারনীতি এবং WTO চুক্তিতে সাক্ষর করলে দেশের যুবকদের জন্য সফটওয়্যার, IT এবং ITES শিল্পে বিশ্বের বাজার দখল করে ভারতবর্ষ l কিন্তু তৎকালীন ডেমোক্র্যাট মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন WTO চুক্তি থেকে মার্কিন মানবাধিকার কোড বাদ রাখার ফলে চীন বিশ্বের ম্যানুফ্যাকচারিং বাজার ধরে নেয় l WTO চুক্তি অনুসারে সারা বিশ্ব যেমন তাদের IT ও ITES পরিষেবার বাজার ভারতকে খুলে দিতে বাধ্য ছিল, তেমনই আমরাও চীনকে আমাদের পণ্যবাজার খুলে দিতে বাধ্য হই l ফলে স্টিল, যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রিক হার্ডওয়্যার ইত্যাদি উৎপাদনে আমাদের পিঠ ঠেকে যায় l আর এখানেই সুহাস ট্যান্ডন মত লক্ষ লক্ষ স্নাতক মেটালার্জি, কেমিকাল, মেকানিকাল, ইন্সট্রুমেন্টেশন বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেবার পর, IT বা ITES এর চাকরিতে চলে যায় l আর ফারহানরা বাধ্য হয় ইঞ্জিনিয়ার হতে, নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে l ১৯৯৮ তে অটলজি যখন দেশে পরিকাঠামোতে নতুন নীতি প্রনয়ণ করে সুবর্ণচতুর্ভূজ, মেট্রো রেল, বন্দর, বিমান বন্দর, জলপথ, সেচ বা নদী সংযোগের পরিকল্পনা নিলেন তখন, বাজারে আর সেরা সিভিল মেকানিকালদের পাওয়া গেল না l লারসন এন্ড টুব্রো কোম্পানির পূর্বতন অধিকর্তা অনিল নায়েক এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন l
এবার উপরের ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষায় সরকারী বিনিয়োগ এবং তার ফল কি হল, সেটা হিসেব করি l সরকার একদিকে সরকারি কলেজে এক বিষয়ে পড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করছে, আর পাস করে ছাত্রছাত্রীরা কাজ করছে অন্য শিল্পে l আর এই সুযোগে হাজার হাজার বেসরকারী কলেজ IT শিল্পে লোক পাঠানোর জন্য পরিকাঠামোহীন, শিক্ষকহীন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বানাতে থাকলো l মধ্যবিত্তরা ঘটি বাটি বেচে তাদের সন্তানের জন্য সার্টিফিকেট কেনার জন্য এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালো l যারা সফল, তাদের দেখে আরও মানুষ ওই প্রতিষ্ঠানে হাজির হল এবং যারা অতল জলে তলিয়ে গেছে যাদের খোঁজ কেউ রাখে নি l নেতা, বাবু, UGC, AICTE, রাজ্য শিক্ষাদপ্তর, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কালো টাকার জাঁতাকলে শিক্ষা পরিণত হল পণ্যে l আর বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ছাত্ররা তাদের বাবা মাকে নিঃস্ব করে, বিভিন্ন চতুর্থ শ্রেণীর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তিন চার বছরের কোর্স করা শুরু করে l এক্ষেত্রেও অকৃতকার্যের সংখ্যা ৮০% l
এভাবে প্রায় দুই দশক চলার পর কিছু আন্তর্জাতিক ঘটনা পুরো বিশ্বের বাণিজ্যবাজারে একটা ধাক্কা আনল l লেম্যান ব্রাদার্সএর পতন এর ধাক্কায় পাশ্চাত্য দেশে বেকারত্বের হার গেল বেড়ে l তাঁর উপর চীনের অনৈতিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির ফলে বিভিন্ন দেশে বেকারত্ব আকাশ ছুঁলো l WTO তে যেহেতু মার্কিন মানবাধিকার কোড বাদ ছিল, সেহেতু চীন বিনা পয়সায় জমি ও কম খরচে শ্রমিক পায় তাদের উৎপাদনের জন্য l কে সেই দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে?
আর এই সমস্যার দিনে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা তুলে দেয় তাদের দেশের রক্ষণশীল নেতাদের হাতে l তাদের মধ্যে আছেন ট্রাম্প, বরিস জনসন, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, এঞ্জেলা মার্কেল, স্কট মরিসন এবং নরেন্দ্র মোদী l শুরু হয় WTO চুক্তির বিভিন্ন শর্ত নিয়ে ময়না তদন্ত l WTO র বিরোধ নিস্পত্তি কমিটিতে প্রতিনিধি পাঠাতে অস্বীকার করে ভারত, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র l এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের আগামী দিনে কিছু নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে এবং সেই সঙ্গে আমাদের সামনে কোন কোন নতুন সুযোগের দরজা খুলবে l একবার তার বিশ্লেষণ করা যাক l
এই প্রসঙ্গে প্রথমে মার্কিন অর্থনীতির একটি মূল জায়গা নিয়ে আলোচনা করা যাকl পৃথিবীর সব দেশ পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে l কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রফতানি করে ডলার। আমদানি করে পণ্য l যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের গুরুত্ব থেকে যায়। এতদিন আমেরিকার পণ্য বাজারে চীন ও পরিষেবার বাজারে ভারত রাজত্ব করে এসেছে। কিন্তু ট্রাম্পের আমেরিকা ভারতকে খোলাখুলি আর পরিষেবার ব্যবসা করতে দেবে না l আর চীনকে দেবেনা পণ্য বেচতে l কিন্তু সেক্ষেত্রে মার্কিন পণ্য বাজার দখল করবে কে? আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট পেনিসিলিনসহ বেশ কিছু ওষুধ প্রস্তুত করে না l এছাড়া গাড়ি, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য তো আছেই l এটা ভারতের.ম্যানুফ্যাকচারিংএর জন্য সুবর্ণসুযোগ l আর এই দুই কারণে, ভারতের যুবকযুবতীদের কোনরকমে ডিগ্রি নিয়ে সফটওয়্যারে চলে যাবার গত ২৯বছরের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে l আর সেই কারণেই প্রয়োজন ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণাকেন্দ্র ও সেরা শিক্ষক l রাজনৈতিক আনুগত্যযুক্ত শিক্ষকদের দিন শেষ l সরকার বাজেটের ৬% শিক্ষা খাতে খরচ করতে রাজি l তাঁর জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং এক প্রবেশিকা পরীক্ষা l বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন l শিক্ষা দেওয়া হবে সেই বিষয়ে যা যুবকযুবতীদের কাজে লাগবে l
শুধু শিল্প নয় l কৃষি, পশুপালন ও দুগ্ধ ক্ষেত্রেও আমাদের দেশের জন্য একটা বড় সুযোগ আসছে l বহু পাশ্চাত্য দেশে শীতকালে চাষ হয় না এবং খাবারের দাম বেড়ে যায় l ভারত তাদের খাদ্য রফতানি করার পরিকল্পনা করছে l কিন্তু এর জন্য চাই প্রশিক্ষণ l সমীক্ষা করলে দেখা যাবে এগ্রিকালচার, ডায়েরি বিষয়ের স্নাতকদের নিজের বিষয়ের প্রায় চাকরিই নেই l বহু ছাত্র ব্যাংক, সিভিল সার্ভিসএ যোগ দেয় l আত্মনির্ভর ভারত এদের জন্য বাজারে তৈরি করবে আর নতুন শিক্ষানীতি এদের বাজারোপযোগী তৈরি করবে l আমুলের একজন গোয়ালা যেমন বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তিন চার রকমের দুধ তৈরি করে তেমন l বাজার তৈরি হলে, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার যেমন ল্যাটেরাল ব্রেনড্রেন হয় না, তেমনই এগ্রিকালচারাল বা ডেয়ারি বিষয়ের স্নাতকদেরও ব্যাংকের পরীক্ষা দিতে হবে না l.
তবে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ তিন বছর বয়স থেকে ছাত্রের দায়িত্ব নেয়া l আগে ধনীর সন্তানরা শিক্ষা শুরু করতো তিন বছরে কোন ইংরেজি মাধ্যমে এবং দারিদ্ররা ছয় বছরে সরকারি বিদ্যালয়ে l বহু দরিদ্র এই বয়সেই সন্তানকে শিশুশ্রমিক বানিয়ে ছাড়তো l সরকার তাদের তিন বছরেই বিদ্যালয়ে আনছে l তাদের পুষ্টির জন্য দুবার সুষম খাদ্য l যাতে ওই মানবসম্পদ শিশুশ্রমিকের শৃঙ্খলায় অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত না হয় l তার জন্যই বাজেটের ৬% শিক্ষায় খরচের প্রস্তাব l
শেষে বলি, আত্মনির্ভর ভারত ও নতুন শিক্ষানীতি কোন স্বতন্ত্র বিষয় নয় l একে অপরের পরিপূরক l রবি ঠাকুরের ভাষায়, শিক্ষা এখন থেকে বহন করতে হবে না সুহাস ট্যান্ডন বা ফারহান কুরেশিদের, শিক্ষা তাদের বাহন হবে l
সুদীপ্ত গুহ