কাশ্মীরি পন্ডিত আর বাঙালি হিন্দু। দুপক্ষকেই ছাড়তে হয়েছে নিজের ভিটেমাটি। দুপক্ষকেই এলোপাথাড়ি খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে পন্ডিত আর বাঙালি হিন্দু নারীদের। কিন্তু কাশ্মীরি পন্ডিতদের মতোই বাঙালি হিন্দুদের দুরবস্থা নিয়েও মুখ খোলেনি বাকি ভারত। কাশ্মীর ফাইলস পর্দায় আসার পর যেন এক বিন্দুতে এসে মিলে গেল কাশ্মীরি পন্ডিত আর বাঙালি হিন্দু। মিলিয়ে দিলেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর প্রশ্ন, ‘বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দুদের উৎখাত করা নিয়ে কোনও ছবি তৈরি হয়নি কেন’?
টুইটে তিনি লেখেন, ‘আজ দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেখলাম। যদি এই ছবির গল্প ১০০ শতাংশ সত্যি হয়, কোনও বাড়তি ঘটনা না থাকে, অর্ধসত্য কাহিনী না থাকে তাহলে এটা সত্যিই খুব দুঃখের। কাশ্মীরী পন্ডিতদের কাশ্মীরে থাকার অধিকার অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। আমি বুঝতে পারিনা, কেন বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দুদের উৎখাত নিয়ে কোনও ছবি এখনও তৈরি হয়নি।’
সত্যিই কেন হয়নি? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ নেটিজেনরা। বাংলা চলচ্চিত্রে দিকপাল পরিচালকের অভাব নেই। সত্যজিত রায় থেকে মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক। বরং উদ্বাস্তু এবং তাঁদের মর্মব্যাথা নিয়ে সিনেমা কম হয়নি। কিন্তু তা শুরু হয়েছে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে, মিলিয়ে গেছে কলকাতার অলিগলিতে। কেন বাঙালি হিন্দুদের উদ্বাস্তু হতে হল, এই পরিণতির জন্য দায়ী কারা? সেই নিয়ে গত ৭০ বছরে কোনও সিনেমা তৈরি হয়নি। এবার আমবাঙালির সুরে সুর মিলিয়ে সেই দাবি তুললেন তসলিমাও।
ইতিমধ্যেই দ্য কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে বিভাজিত সিনেপ্রেমীরা। কারোর মতে এই ছবি দেখে আপ্লুত তাঁরা, কেউ কেউ আবার এই ছবিকে বিজেপির প্রচারমূলক ছবি বলে দাগিয়ে দিয়েছে। তবে শেষ কথা বলবে দর্শক যা প্রভাব ফেলবে বক্স অফিসে। সাতদিনে এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ১০০ কোটি। ছবির বানিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামিদিনে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যবসা করবে অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমার, অভিনীত এই ছবি।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই হিন্দুরা একত্রিত হয়ে হামলা চালায় মুসলিম মহল্লায় যেই খানেই থাকে শ্লীলতাহানি করা মুসলিম যুবকেরা।অবস্থা ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যখন চলে যাচ্ছে তখন পুলিশ ফোর্স নামাতে বাধ্য হয় প্রশাসন।এই ঘটনায় পুলিশ আপাতত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে।