নয়া প্রাইভেসি পলিসিকে কেন্দ্র করে ফের ধাক্কা খেল WhatsApp।ভারতীয় ইউজারদের গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে WhatsApp-এ, এই মর্মে দিল্লী হাইকোর্টে আগেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল ফেসবুক মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে। এবার সংস্থাটি যাতে তার নতুন গোপনীয়তা নীতি এবং পরিষেবার শর্তাদি বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে – সেজন্য এবার আদালতের কাছে অনুরোধ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
আবেদনের জবাবে দায়ের করা হলফনামায় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই বিবৃতি দিয়েছে। গত বুধবার লোকসভায় দেশের তথ্য-প্রযুক্তি তথা যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে বলেছেন যে, সরকার, Facebook-এর মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটিকে তার নতুন প্রাইভেসি পলিসি পর্যালোচনা করার কথা বলেছে। কারণ সাময়িকভাবে নতুন পলিসি বাস্তবায়নের কাজ স্থগিত রাখলেও, আগামী মে মাসে এটি কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছে WhatsApp।
সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম WhatsApp-এর নতুন গোপনীয়তা নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সীমা সিংহ এবং মেঘন সিং নামের দুই ব্যক্তি।ব্যবহারকারীরা হয় এটি গ্রহণ করবেন না হলে অ্যাপ্লিকেশন থেকে প্রস্থান করতে পারবেন কিন্তু ডেটা শেয়ার না করার কোনো অপশন নেই এই পলিসিতে।হোয়াটসঅ্যাপ-এর নতুন নীতি অনুযায়ী, ‘ফেসবুক-এর মালিকানাধীন অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যে সমস্ত তথ্য আমরা শেয়ার করছি, তার মধ্যে থাকছে আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য (যেমন ব্যক্তিগত ফোন নম্বর), লেনদেন বিষয়ক তথ্য, পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য, আমাদের পরিষেবার মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে আপনি কী ভাবে সংযোগ করেন (কী ধরণের সংযোগ সহ), মোবাইল ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্য, আপনার আইপি অ্যা়ড্রেস। এর সঙ্গেই থাকতে পারে গোপনীয়তা রক্ষা নীতির অন্তর্ভুক্ত ‘আমাদের সংগৃহীত তথ্য’ বিভাগের অন্তর্গত অন্যান্য তথ্যাবলী বা আপনাকে পাঠানো নোটিশ মারফৎ পাওয়া তথ্য বা আপনার সম্মতি ভিত্তিক প্রাপ্ত তথ্য।’
প্রথম থেকেই ফেসবুক মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি নিজের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে দাবি করে আসছে যে, WhatsApp-এ আগের মতই ব্যবহারকারীদেরব্যক্তিগত চ্যাটগুলি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকবে এবং ইউজারের ডেটা কোনোভাবেই ট্র্যাক করা হবে না। শুধু ভারতে নয়, প্রায় সারা বিশ্বে WhatsApp-এর নতুন প্রাইভেসি পলিসি তীব্র সমালোচিত হয়েছে। এমনকি প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে ঘোষণা করার পর, প্রচুর ব্যবহারকারী WhatsApp-কে বিদায় জানিয়ে Signal এবং Telegram-এর মত অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতে এসেছে দেশীয় বিকল্প Sandes-ও।