আজ কি হবে তিক্ততার অবসান! মমতা-মোদী বৈঠকে উঠে আসছে যে সব সম্ভাবনা

লোকসভা ভোট প্রচার চলাকালীন যে তিক্ততা ধরা পড়েছিল উভয়ের কথাবার্তা, সেই সম্পর্কের কি অবসান হবে অবশেষে। বুধবার দিল্লিতে মমতা-মোদী বৈঠক নিয়েই এখন সরগরম জাতীয় ও রাজ্য রাজনীতি। কী উদ্দেশ্যে মমতার দিল্লি যাত্রা, কী বলবেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে, তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা।

২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। উভয়ের তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যাননি মমতা। এমনকী নীতি আয়োগের বৈঠকেও তিনি যাননি। তাহলে এতদিন পর কেন মমতা এলেন মোদী সকাশে। বিরোধীজের বাক্যবাণ থেকে নিস্তার নেই মমতার। মঙ্গলবারই দিল্লি উড়ে এসেছেন মমতা। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আড়াই বছর পর ফের মোদী-মমতা মুখোমুখি হবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, রাজ্যের দাবি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন। কেন্দ্রের কিছু নীতি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলবেন বলে জানিয়েছেন। তবু বিরোধীরা বাণ ছাড়তে ভুলছেন না। বিরোধীদের বাক্যবাণ, আসলে এতদিন পর মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠকের মূল কারণ হল সেটিং। সারদা মামলায় রাজীবের গ্রেফতারি সম্ভাবনায় আতঙ্কে রয়েছেন মমতা। নিজেকে বাঁচাতেই তিনি গিয়েছেন দিল্লির দরবারে। অধীর চৌধুরী বলেন, এই বৈঠক আসনে মোদীর কাছে মমতার আত্মসমর্পণ। আর সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, মমতা মোদীর কোমরে দড়ি পড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন, এবার নিজের কোমরে যাতে দড়ি না পড়ে, তার সেটিং করতে গিয়েছেন দিল্লিতে। যদিও মমতা ও তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে দাবি জানাতেই তিনি মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। এর আগে চারবার তিনি আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছেন কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু পাননি। এবার নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তিনি প্যাকেজের দাবি জানাবেন। তিনি এদিন রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়েও আর্জি জানাবেন মোদীর কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.