দাস ক্যাপিটাল চিবিয়ে খেয়ে ফেলা রক্ত লোলুপ নরপিশাচ স্ট্যালিনের উত্তরসূরিরা কেরালায় (Kerala) অন্তঃসত্ত্বা হাতির পাশবিক ও মর্মান্তিক হত্যাকে তাদের চিরাচরিত কৌশলে গ্রাম্য টোপের মিথ্যে ন্যারেটিভ ফেঁদে লঘু করতে চাইছেন। সারা পৃথিবী জুড়ে লাখো কোটি মানুষের রক্ত চুষে, স্বাদ পরিবর্তনের নেশায় মানুষছেড়ে বিকৃত মানসিকতা এখন নিরীহ পথ কুকুর ও হাতি হত্যার মাধ্যমে তাদের অতৃপ্ত লালসা মেটাতে প্রয়াসী হয়েছে।
২০১৬ সালে কেরালায় নিরীহ পথ কুকুরদের জ্যান্ত পিটিয়ে মেরে ফেলার পাশবিক উৎসব শুরু হয়। এই হত্যালীলার তীব্রতা এত ছিল যে বাধ্য হয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়। ঐ বছর ১২০ টির ও বেশি পথ কুকুর কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই প্রসঙ্গে বাম পরিচালিত কেরালা সরকারের এক মন্ত্রী কে টি জলিল বলেছিলেন ২০১৯ এর মধ্যে মাস কালিং এর মাধ্যমে কেরালাকে সম্পূর্ণরূপে পথ কুকুর মুক্ত রাজ্য করা হবে। যে রাজ্যকে গড’স ওন কান্ট্রি বলা হয়, সেই রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঔদ্ধত্য ও বিকৃতির কদর্যতা বিষ্ময়ে হতবাক করার মত।
রিপোর্টে প্রকাশ, কেরালায় ২০১৬ সালে ২৬ টি, ২০১৭ সালে ২০ টি এবং পরের বছর মোট ৩৪ টি পালিত হাতিকে মৃত্যুবরণ করতে হয় শুধুমাত্র অপরিচর্যা ও না খেতে পাওয়ার কারনে। বাম দীক্ষায় গর্বিত শিক্ষিত সমাজের অমানবিকতা সত্যিই অনন্যসাধারণ।
আজ যারা গ্রাম্য টোপের মিথ্যা ন্যারেটিভ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন তাদের অত্যন্ত নিম্নমানের তথ্য ভান্ডার দেখলে অনুকম্পা হয়।
মে মাসে ঘটা কেরালার মালাপ্পুরমে বাজি ভরা আনারস খাইয়ে যে পৈশাচিক কায়দায় মা হাতি ও তার গর্ভে থাকা সন্তান কে হত্যা করা হয়েছে, সেই একই পৈশাচিক কায়দায় এপ্রিল মাসে কেরালার পাথানপুরম ফরেস্ট রেঞ্জে অন্য একটি স্ত্রী হাতিকে হত্যা করা হয়েছে।
দেশের আপামর শিক্ষিত সচেতন সমাজের এই আলোড়ন হয়ত তাৎক্ষণিক কিন্তু মডেল সমাজের এই পাশবিকতাও কি তাৎক্ষণিক? তথ্য কি সে দিকেই ইঙ্গিত করে? মানুষ মারা মডেল কি আজ নিরীহ পশু মারার মডেলে পর্যবসিত হয়েছে? সুশীল সমাজই এর উত্তর খুঁজুক।
ডঃ তরুণ মজুমদার (Dr. Tarun Majumdar)