এবার রাজ্যের কাছে আমফান মোকাবিলার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়ে টুইটে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। পরপর তিনটি বাংলা টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বিদ্যুৎ, জল ও জরুরি পরিষেবা অবিলম্বে ফেরানো হোক। কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের যে ভয়ঙ্কর দুর্দশার খবর পাচ্ছি তা এতটাই হৃদয় বিদারক যে এখানে না-ই বা বললাম। এখন একে অপরকে দোষ না-দিয়ে বা বলির পাঁঠা না-খুঁজে আগে সমস্যা সমাধান করা দরকার।’
এর মধ্যেই জল, বিদ্যুৎ এবং নিকাশির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের খবর পেয়ে মেটিয়াবুরুজের কাঞ্চনতলায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক আবদুল খালেক মোল্লা। তাঁকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা। উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইট ও পাথরের ঘায়ে তাঁর মাথা ফেটেছে। জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় এক হাসপাতালে। এই প্রসঙ্গে এবং সাধন পাণ্ডে ও ফিরহাদ হাকিমের মতবিরোধ সম্পর্কে বলতে গিয়ে এদিন রাজ্যপাল টুইট করেছেন, ‘প্রবীণ মন্ত্রীদের মতবিভেদ কিংবা কোনও বিধায়ক যখন জনরোষের মুখে পড়েন তখন বাস্তব পরিস্থিতি আরও স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে ধরা দেয়। গ্রামীণ এলাকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই এলাকাগুলিকে উপেক্ষা করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী আমাকে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান।’
করোনার পর আমফান মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দুর্যোগের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও বহু এলাকা এখনও অন্ধকারে। বিদ্যুৎ, জল, কেবল কানেকশন, ইন্টারনেটের অভাবে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটছে মানুষের। রাজ্যের অনুরোধে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে সমগ্র পরিস্থিতিতে হাল ধরলেও কেন তাদের কয়েকদিন আগে ডাকা হল না, সেই নিয়ে সুর চড়ান রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালও যে একই মত পোষণ করেন, এদিন টুইটে তিনি সেকথাই স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।