আমাদের ভবিষ্যৎ কি!? ভিক্ষার লাইনটা আগামীতে হয়তো আবারো শরণার্থীদের লাইনে বদলে যাবে

লক্ষীর ভান্ডারে এখনও পর্যন্ত ১.৫ কোটি মানুষ নাম নথিবদ্ধ করেছেন। এসসি পরিবারের মহিলারা ১০০০ টাকা ও জেনারেল পরিবারের মহিলারা ৫০০ টাকা করে পাবেন। গড় যদি ৭৫০ টাকাও ধরি তাহলে যে পরিমাণ টাকা হয়, তাতে মাসিক ৪০,০০০ টাকা বেতনে প্রায় সাড়ে তেইশ হাজার সরকারি কর্মী নিয়োগ করা যেত। সমাজেরও আর্থিক অগ্রগতি হতো। কারণ প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তৈরী হলে পরিবারগুলোর আর্থিক স্থিতি সুদৃঢ় হতো। যার ফলে পরোক্ষ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও প্রসারিত হতো আরো।

সেসব কিছুই হল না। এই দানের ১০০০ কিংবা ৫০০ টাকা নিমেষে হাওয়া হবে। আর ওদিকে পুলিশে ৫০ জন নিয়োগ হলো যার ভিতর ৪৮ জনই বিশেষ সম্প্রদায়ের! ডোল রাজনীতির মাধ্যমে সুকৌশলে হিন্দু বাঙ্গালী সমাজ থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে মুছে ফেলা হচ্ছে! গ্রাম ও শহরের পড়াশোনা জানা ও কম জানা সব পরিবারের পর প্রজন্মই আজ প্রবাসী! পশ্চিমবঙ্গে বাঙ্গালী হিন্দুর পরবর্তী প্রজন্ম ক্রমে তার নিজের ভূমি ছেড়ে পরভূমে স্থিত হচ্ছেন!

এসবের মাঝে প্রেক্ষাপটটা বৃহৎ করে ভাবলে দেখবেন, ১৯৪৭এর ১৯শে জুন দুই বাংলা মিলিয়ে যে পরিমাণ হিন্দু ছিল, আজ তার এক তৃতীয়াংশ অবলুপ্ত!

এমতাবস্থায় আমাদের ভবিষ্যৎ কি!? ভিক্ষার লাইনটা আগামীতে হয়তো আবারো শরণার্থীদের লাইনে বদলে যাবে! তবে সেটার আকার আরো ছোট থেকে ছোট হতে হতে আগামীতে অবলুপ্তির পথে না চলে যায়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.