ই-রুপি কি ডিজিটাল কারেনসি ? না এটা ডিজিটাল ভাউচার l বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি যেমন তাদের কর্মীদের বিগবাজার কিম্বা zomato র ভাউচার দেয় তেমন l RBI প্রধান ডঃ শক্তিকান্ত দাশ ক্রিপটো কারেনসির ব্যাপারে তার অনিচ্ছা ব্যাক্ত করেছেন l কিন্তু তাহলে ই-রুপির প্রয়োজন কি?
একসময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বলেছিলেন, আমাদের দেশের সরকার 1 টাকা দিলে 15 পয়সা প্রান্তিক মানুষ পায় l মোদীজি জনধন একাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে সেই রাস্তা বন্ধ করে দেন l কিন্তু সেই এক টাকা সঠিক ভাবে খরচা হচ্ছে নাকি কিভাবে জানবে নির্দিষ্ট করবে সরকার?
এখানেই এই ই-ভাউচারের প্রয়োজন l সরকার অনেক সময় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কিম্বা নারীদের স্বাস্থ্য খাতে যে খরচ দেন, সেটা দেখা যায় অন্য কাজে খরচা হয়ে যায় l বাড়ির পুরুষরা বহুক্ষেত্রে সেই টাকা মদ খেয়ে উড়িয়ে দেয় l কিন্তু এই e-রুপি কোথায় খরচা করা যাবে সেটা ঠিক করে দেবে সরকার l যেমন কলেজের ফি, কিম্বা বইয়ের দোকান কিম্বা মহিলা বা শিশুদের ওষুধ কিম্বা হাসপাতাল l এতে অপচয় সম্পূর্ণ বন্ধ হবে, বলা যায় না l কিন্তু অনেকটাই কমবে l শুধু একটা sms কিম্বা QR কোড দেখাতে হবে লেনদেনের সময় l আমেরিকা, সুইডেন, থেকে কালাম্বিয়া চিলি অনেকেই এই ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যাবহার করে আজকাল l NPCI, অর্থ দপ্তর, নারী ও শিশু মন্ত্রক মিলে এই ব্যাবস্থা চালু করছে এবং এটা ডিজিটাল কারেন্সীর প্রথম পদক্ষেপ l ই-রুপি চালু করলে সরকার জেনে যাবে আগামীদিনে ডিজিটাল কারেনসি চালু করলে কি কি সমস্যা হতে পারে l
কালো টাকার রং কিন্তু কালো নয় l 2018 র আগে সুইস ব্যাংকের সঙ্গে ভারত সরকারের তথ্য বিনিময় সম্ভব ছিল না l তবে কালো টাকার রমরমা বন্ধ করতেই হবে দেশের দরিদ্রতম মানুষকে কৃত্তিম মুদ্রাস্ফীতির হাত বাঁচাতে l জনধন প্রথম ধাপ l এরপর নোটবন্দি, জিএসটি, আইবিসি, রেরা l বোম্বের প্রোমোটাররা একসময় 50% ক্যাশ না দিলে ফ্ল্যাট বিক্রি করতো না l আজ তারা ক্যাশ নেন না l এবার চালু ই রুপি l ভাউচার আকারে l এরপর এফএসডিআর এবং ডিজিটাল কারেন্সি l
সুদীপ্ত গুহ