এ বছরের বাজট নিয়ে প্রথম থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে এখন স্বাভাবিক হওয়ার পথে দেশ। এই সময় বাজেট কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল দেশবাসীর মনে। মহামারীর কারণে এখন মধ্যবিত্তদের পকেটে টান। অনেকের আবার ঠিকমতো বেতনও হচ্ছে না। মোটের উপর আর্থিক দিক থেকে টালমাটাল বেশিরভাগ মানুষই। ফলে কোন কোন জিনিসের দাম এই বাজেটে বাড়তে চলেছে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রথম থেকেই ছিল।
করোনা সঙ্কটের সময় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালে মে মাসে ২০ লক্ষ কোটি টাকার একটি অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। প্যাকেজটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘স্বনির্ভর ভারত প্যাকেজ’। এই ঘোষণা বাজেটের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। কিন্তু সরকারের একাধিক প্যাকেজ সত্ত্বেও মধ্যবিত্তের পরিস্থিতি এখনও উন্নতি হয়নি। মনে করা হচ্ছে অর্থনৈতিক এই মন্দা কাটতে অনেকটাই সময় লাগবে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ২০২১-এর বাজেট ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও এ বছর বাজেটে মধ্যবিত্তদের নিত্য প্রয়োজনীয়, এমন কোনও জিনিসের দাম সেভাবে বাড়াননি। এ বছর যে জিনিসগুলোর দাম বেড়েছে সেগুলি হল- মোবাইল ফোন, চার্জার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, আমদানিকৃত সিল্ক, সোলার ইনভার্টার, চামড়ার জিনিস, জেমস্টোম, টানেল বোরিং মেশিন, অটো পার্টস, কাবুলি চানা, পালস ইত্যাদি।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে এবার বিপুল বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ কেন্দ্রীয অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, ২০২১-২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২.২৩ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণের জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। করোনা হানা সামলাতে গোটা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবার রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং টাস্ক পালন করেছে। করোনা মোকাবিলায় জীবন বাজি রেখে লড়াই চালাচ্ছেন আমাদের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। এবারের বাজেটে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও বেশি মজবুত করতে নজর কেন্দ্রের। যাতে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনও সংকট এলে দেশ তার মোকাবিলা করতে পারে, তাই এই উদ্যোগ।