হিজাব এবং গরবা অনুষ্ঠান নিয়ে কি বলছেন প্রাক্তন আর্মি অফিসারের কন্যা শবনম খান ?হিজাব বা ইসলামিক আচ্ছাদন আদৌ কি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?

ঘটনার সূত্রপাত হয় উদিপির এক কলেজে মাথা ঢেকে ক্লাসে আসা নিয়ে। ছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকারি নির্দেশে হিজাব পরে ক্লাসে আসা যাবে না। কলেজের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ করেন মুসলিম পড়ুয়ারা। রীতিমতো উত্তাল হয় দেশ। মামলাটি কর্ণাটক হাইকোর্টে ওঠে। 
[কর্ণাটক হাইকোর্ট তার রায়তে জানিয়েছিল, হিজাব ইসলামের অপরিহার্য অঙ্গ নয়। স্কুল-কলেজ ক্যাম্পাসে হিজাব নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু ক্লাসরুমে এবং ক্লাস চলাকালীন পরা যাবে না হিজাব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাইলে এই নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে আইন অনুযায়ী। শুধু ইসলাম নয়, সব ধর্মের পড়ুয়াদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এটা। ফ্রান্সে যেমন প্রকাশ্যে হিজাব পরা নিষিদ্ধ। 
গত ১০ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্ট রায় দেয়, কোনও শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় পোশাক পরার জন্য কোনওভাবেই জোর করা উচিত নয়। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন পড়ুয়ারা। মুসলিম মেয়েদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে, এই মর্মে করা হয় আবেদন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, হিজাব পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কিনা এবং এটি একটি ধর্মীয় অনুশীলনের একটি অপরিহার্য অংশ কিনা তা বিবেচনা করা হচ্ছে। হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফে এও জানানো হয় যে হিজাব পরার  বিষয়টি যতদিন বিচারাধীন থাকবে, ততদিন কোনও শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় পোষাক পরার জন্য জোর করা যাবে না। পরে এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যায়। এবার সেই মামলা ঘিরেই নতুন করে বিতর্ক দেখা দিল।
হিজাব মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দু’জন বিচারপতি ভিন্ন রায় দিলেন। দু’জনেই আলাদা আলাদা রায় দেওয়ায় মামলাটি উচ্চতর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হল। এই মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে সঠিক আখ্যা দিলেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত। অন্যদিকে, এর বিরুদ্ধে রায় দিলেন বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া। হিজাব পরায় কর্ণাটক সরকারের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করার সপক্ষে রায় দেন তিনি। 
যাক – এবার হিজাব এবং গরবা অনুষ্ঠান নিয়ে কি বলছেন প্রাক্তন আর্মি অফিসারের কন্যা শবনম খান ?
[হিজাব বা ইসলামিক আচ্ছাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়? যে দেশে জলবায়ু মূলত গরম এবং আর্দ্র সে দেশে প্রকৃতপক্ষে হিজাব পরার জন্য উপযুক্ত নয়। ৫০-৭০ দশকে এই হিজাব মূলতঃ এক্সট্রিম ইসলাম মনস্কদের মাঝে বিরাজ করলেও ৯০ এর দশক থেকে এই মনোভাবের পরিবর্তন আসতে শুরু করে। জোর করে হিজাব পড়ানোর হুজুগ শুরু হয় বিশ্বের মুসলিম সমাজে।
[হিজাব পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের দমিয়ে রাখার একটা হাতিয়ার। হিজাব দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাখ্যা কি? হিজাব কি পরাধীনতার প্রতীক নাকি স্বাধীনতার?
তাছাড়া একদল পুরুষ যখন মন চেয়েছে হিজাব পরিয়েছে নারীকে। যখন মন চেয়েছে হিজাব সরাতে বলেছে। নারীর বক্তব্য কি এ বিষয়ে? নারী নিজে কি চায়? কোরান কি বলে? হিজাব, নকাব, বোরখার আড়ালে ইসলাম বিশ্বের নারীদের কোন শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা লুক্কায়িত থাকে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.