পশ্চিমবঙ্গের বনদপ্তর তুলে দেওয়ার দরকার ,পেট মোটা ভোঁদড় গুলোকে বসিয়ে বসিয়ে মাইনে দেওয়া বন্ধ হোক।
বঙ্গের বনদপ্তর ——1)বছর খানদুই আমি আগে একটা বাঘরোল ছানাকে কুড়িয়ে পেয়ে ভেট-হসপিটালে দেখিয়ে কাঁথী বনদপ্তরকে দিয়ে এসেছিলাম। ভেট ডক খুব ভালো বিনে পয়শায় ওষুধ দিলেন। বললেন একদম ফিট আছে। কিন্তু সরকারী পশু চিকিৎসালয়ে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। তখন নিয়ে এলাম বনদপ্তরে। ওদের জিগ্গাসা ও করেছিলাম বাঁচাতে পারবেতো?বনদপ্তর বুক ফুলিয়ে বললো হ্যাঁ অব্শ্যই বাঁচিয়ে দেবে বড় করেও দেবে।তাছাড়া এ ও ভয় দেখালো— আমি ওকে বাড়ীতে রাখতে চাইলে আইনি সমস্যায় পড়বো। তখন খবরটা কাগজে বেরিয়েছিল বাঘরোল ছানাটার ছবি,কাগজে রেঞ্জ অফিসারের নাম ও বেরিয়েছিল। কদিন পর মিডিয়া আর খবর রাখেনি। আমি খোঁজ নিতাম ,গিয়ে দেখতাম নোংরা ভাবে খোলা আকাশের নীচে রোদ জলের মধ্যেই ,বাইরে ফেলে রেখেছে ছানা টাকে। পাশে দুধের বাটি। সে দুধ কেটে গিয়ে ছানা হয়ে রয়েছে। অবশ্যই কদিন পর মরে গেছিলো বাচ্চা টা।
2)ধান কাটার পর শুরু হয় পাখী নিধন যোগ্য। এয়ার গান নিয়ে দিনের পর দিন চলে পাখী হত্যা। কতবার রক্তাক্ত পাখী কুড়িয়ে ডানায় ব্যান্ডেজ করে সুস্থ করেছি। ফোন করেছি পুলিশকে বারবার ফোন করেছি বনদপ্তর কে। কেউ কোনো ব্যবস্থা কখনো নেয়না। ভিসিট করবে বলে করেনা।
3) গতবছর জালে আটকে পড়ে ছিলো একটি হনুমান ছানা। হনুমানের দল ঘিরে রয়েছে জায়গাটাকে। নইলে নিজে গিয়েই ছাড়িয়ে দিতাম। হাজার বার ফোন করলাম বনদপ্তরে। ছটপট করতে করতে মরে গেল ছানাটা বনদপ্তর এলোনা।
বনদপ্তরের অফিসে মাঝে মাঝেই যাই ওদের হালহকিকত দেখতে। পায়ের ওপর পা তুলে মাইনে খায়,আর বর্ষা কালে কিছু গাছের চারা বিতরণ করে। এই হলো পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তরের আসল কঙ্কাল। আর কুকুর প্রেমীরা দয়া করে একটু বন্যপ্রাণীর দিকেও লক্ষ দিন। ওদের পাশে কেউ নেই।
তিতাস পান্ডা