কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ‘আমি খুব খুশি স্বামী প্রণবানন্দ যেখানে অনেকটা জীবন কাটিয়েছিলেন সেখানে আসতে পেরে। স্বামী প্রণবানন্দ তখন স্বাধীনতা এবং স্বরাজের কল্পনা দৃঢ় করেছিল যখন দেশের এটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন ছিল। যখন বিভক্ত হয়েছিল তখন এই অংশটা ভারতের সঙ্গে জুড়ে থাকে এর জন্য স্বামী প্রণবানন্দ-এর প্রেরণা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে প্রেরিত করেছিল এবং শেষে আমরা সফল হয়েছি। সেবাশ্রম এর মাধ্যমে যুবকদের মধ্যে রাষ্ট্রভক্তি, আধ্যাত্মিক চেতনা, আত্মবল, সেবা, সমর্পন, এবং ত্যাগ গুণের বিকাশ হোক এর জন্য স্বামী প্রণবানন্দ সারাদেশে যে অভিযান শুরু করেছিল তার ফল ১০৫ বছর পর আমাদের সামনে বটবৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে বিপদ এসেছে সেখানেই জাতি-ধর্ম সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ভারত সেবাশ্রম একটা নজির সৃষ্টি করেছে। এখনো যুবকদের মনে রাষ্ট্র ভক্তি এবং দেশের জন্য বাঁচার মনোভাব ভারত সেবাশ্রম তৈরি করে।’
শাহ আরও বলেন, ‘ভারত সেবাশ্রমের সঙ্গে আমারও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। আহমেদাবাদে স্বামী গণেশানন্দের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল, ওনার অনেক গভীর প্রভাব আমার মধ্যে আছে। সন্ন্যাসী কেমন হয় এটা বুঝতে হলে ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীদের দেখতে হবে। আর এখান থেকে আমি বড় চেতনা ও উৎসাহ নিয়ে যাচ্ছি। আমার সারা জীবনে এই চেতনা ও প্রেরণা আমাকে প্রেরিত করতে থাকবে। যোগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দ-এর জীবনকে আমি অনেক অনেক শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছি।’