যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। পাকিস্তান বা কাশ্মীরের জেহাদিদের বিরুদ্ধে যে রণহুঙ্কার তার বিরুদ্ধে সকলে। সকলে মানে শাসকদল, বিরোধী বামফ্রন্টের সব্বাই, যারা ভারতের সংবিধানের প্রতি ততটা আস্থা না রাখলের রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় সবাই। ওই অলপ্পেয়ে বিজেপি বাদে সব রাজনৈতিক শক্তি বলেছেন, বুলেট নয়, একান্ত আলোচনার মধ্য দিয়েই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে।
‘এরা কারা’? কিছু অশিক্ষিত, অসংস্কৃত যুবকযুবতী জাতীয় পতাকা নিয়ে, মোমবাতি নিয়ে মিছিল করছে। সঙ্গে বাংলা, ইংরাজি বা হিন্দিতে উগ্র দ্বেষাত্মক পোস্টার। এ রাজ্যের যত সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ, কবি, সাহিত্যিক সকলে এই মূঢ়মতিদের কাণ্ডে লজ্জিত ও আহত হয়েছে। এ রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা ‘বুদ্ধিজীবী’ ব্যানার লাগিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। কলকাতা বুদ্ধির জ্ঞানের সংস্কৃতির পীঠস্থান কিনা। সেই বুদ্ধিজীবীরাও নিন্দা করেছেন এই দেশভক্তির। কী অসভ্যতা।
কলকাতা সাংবাদিকতায় সবার আগে। এখানের এগিয়ে থাকা সংবাদপত্র না পড়া মানেই তো পিছিয়ে থাকা! এ
পেশাদার সাংবাদিকের মধ্যে দেশপ্রেম ব্যাপারটাই গা-ঘিনঘিনে বিষয়! এই সংবাদপত্র কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত নিরীহ নাগরিকদের নিয়ে প্রথম পাতায় শিরোনাম ছাপায়। কাশ্মীরের জঙ্গিদের দেহ বাড়িতে এলে শহিদের মর্যাদা দিয়ে প্রথম পাতায় ছাপানো হয়। এইসব সংবাদমাধ্যমও নেমে গেছে এই হিংস্র যুদ্ধংদেহি মনোভাবের বিরুদ্ধে। একের পর এক উত্তর-সম্পাদকীয়তে তুলোধোনা করা হচ্ছে দেশপ্রেমের।
‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে, ইন্সাল্লাহ, ইন্সাল্লাহ’ জপ করা প্রগতিশীল এখানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও আছে। তাই পুলওয়ামার ঘটনার এক দুইদিনের মধ্যেই কলেজের সামনে, রাস্তা বন্ধ করে বা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই যুদ্ধের দামামার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভারত বিরোধিতার পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে, বাম, অতিবাম সব ছাত্র প শিক্ষক সংগঠনের একেবারে অনড় দাবি। জওয়ানের মৃত্যু, এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেছে বলে আরও কিছু প্রাণ নিতে হবে?
সবাই তো চাইছেন আলোচনার মধ্য দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু তার জন্য সমস্যাটাকে তো ভালো করে জানতে হবে। প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কোন পক্ষ তার কথাটাও তো তুলে ধরা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে একটি পর্যায় এক একটি পক্ষ অবশ্যই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে পারে। আসলে এইসব বুদ্ধিজীবী, এত বড়ো বড়ো এগিয়ে থাকা খবরের কাগজ কতগুলো ইতিহাস, কিছু ভৌগোলিক সত্যকে সবসময় ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আগে সেই কথাগুলো সর্বস্তরে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
কাশ্মীর একটি অতি প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্র ছিল। আদিল আহমেদ দার তার মৃত্যুর আগে তোলা ভিডিওতে বলেছিল, ‘এই ভিডিও তোমরা যখন দেখবে, তখন আমি জন্নতে থাকব’। বিধর্মী কাফেরদের মারতে পারলেই আমার স্বর্গবাস হবে, স্বর্গে আমাকে ৭২ জন অপূর্ব সুন্দরী কুমারী দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে-এটা এটা বিশ্বাস। ১৯ বছরের আদিল এই বিশ্বাস, এই সংস্কৃতির ধারক। এই সংস্কৃতির জন্যই সে আত্মঘাতী হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো কাশ্মীর মানেই কি এই সংস্কৃতি? স্পষ্ট উত্তর হলো, না। কাশ্মীরের রাজা ললিতাদিত্য মুক্তাপেড়কে ইউরোপের ঐতিহাসিকরা ভারতের আলেকজান্ডার বলেন। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে কাশ্মীরের কোরকোটা সাম্রাজ্য ললিতাদিত্যের হাত ধরে তাজিকিস্তান, বুখারা পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্য রাজতরঙ্গিনী। ১৩-শো শতকে লিখেছিলেন কলহন, কাশ্মীরের অন্যতম প্রতিভাধর কবি।
১০-ম শতকে কাশ্মীরে জন্মেছিলেন অভিনব গুপ্ত। একাধারে দার্শনিক, আধ্যাত্মিক বিশ্লেষক এবং শিল্পী। সংস্কৃত সাহিত্যের নন্দনতত্ত্বে অভিনব গুপ্তের অবদান অপরিসীম। তাই সাংস্কৃতিক ভাবে আদিলদের যেটুকু বোঝানো হচ্ছে সেটাই কাশ্মীর নয়। আর কেবলমাত্র মেরে কেটে, ধর্ষণ করে তো আর ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। তাই কাশ্মীরের পাঠক্রমে (যেটা কালকের আদিল আহমদরা পড়ে বড়ো হবে) অবশ্যই ললিতাদিত্য অভিনব গুপ্ত বা কলহন থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স বা জম্মু কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির শিক্ষা সচেতন মানুষের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে যেসব বুদ্ধিজীবী এগিয়ে এসেছেন, তাদেরই একটি দল কাশ্মীরে গিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন, বিদ্যাসাগর বা রবীন্দ্রনাথ ছাড়া যেমন বাঙ্গালি হতে পারে না, তেমনই অভিনব গুপ্ত বা কলহন ছাড়া কাশ্মীরের সংস্কৃতি হতেই পারে না।
কাশ্মীর মানে তো জম্মু কাশ্মীর রাজ্য। এই রাজ্যের ১,০১,৩৮৭ বর্গকিলোমিটার ভূমিখণ্ডের মধ্যে মাত্র ১৫.৭৩ শতাংশ ভূমি জুড়ে কাশ্মীর উপত্যকা। ১৫.৯৩ শতাংশ জমি জম্মুর আর ৫৮.৩৩ শতাংশ জমিতে আছে লাদাখ। জম্মু আর লাদাখ মিলে রাজ্যের ৮৪.২৬ শতাংশ ভূমিখণ্ডের একজন মানুষও ভারত ছেড়ে চলে যেতে চায় না। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও এই অঙ্কটা বোঝেন। তাই জম্মুর জনসংখ্যার বিন্যাস পরিবর্তন না হলে রাজ্য ভারত বিরোধী হবে না। এর জন্য সুদূর মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের জম্মুতে বসবাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দিল্লীতে রীতিমতো অফিস করে ইউ এন এইচ সি আর-এর কার্ড বানিয়ে জম্মুতে পাঠানো হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও অর্থ আছে এর সঙ্গে।
আল জাজিরা গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সওকত আলির লেখায় বিস্তৃত ভাবে দেখিয়েছেন কীভাবে বৌদ্ধদের দ্বারা অত্যাচারিত রোহিঙ্গারা জম্মুতে একটু একটু করে নিজেদের অধিকার কায়েম করছে। আজ পর্যন্ত ৭০০০ জন রোহিঙ্গা জম্মুতে ঘাঁটি গেড়েছে।
এতদিন কাশ্মীর থেকে অত্যাচারিত, বিতাড়িত হিন্দু পণ্ডিত আর অন্য দিক থেকে সুদূর মায়ানমার থেকে আনা রোহিঙ্গা মুসলমানের মাধ্যমে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করা কখনই স্বাস্থ্যকর নয়। যুদ্ধের বিরুদ্ধে কলকাতায় মিটিং মিছিল করছেন যেসব মানবাধিকার সংস্থা তারা কাশ্মীরে হুরিয়ত নেতাদের বৈঠক আয়োজন করে এই বিষয় বোঝাতে পারেন।
কাশ্মীরে যে ১৫ শতাংশ ভূমিখণ্ডে কেবল পাথর ছোঁড়া, কেবল ভারত বিরোধিতা এটা কবে থেকে এতো প্রবল হলো? এই উপত্যকা হিন্দুশূন্যই বা কীভাবে হলো? শ্রীনগরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে আছে শঙ্করাচার্য মন্দির।১৮৯৮ সালে স্বামী বিবেকানন্দ যখন কাশ্মীরে গিয়েছিলেন তখন প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ ক্ষীরভবানী মন্দিরের অপবিত্র করার ঘটনায় একান্ত ব্যথিত হয়েছিলেন। কিন্তু বহু শতাব্দী ধরে হিন্দুদের কাশ্মীর থেকে তাড়ানোর চেষ্টা হলেও ১৯৯০ সালের আগে পর্যন্ত তা সফল হয়নি। কিন্তু মৌলবাদীরা ১৯৮৯ সালের আগস্ট মাস থেকে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের উপত্যকা ছেড়ে যেতে বলে। মসজিদ থেকে মাইক লাগিয়ে বলা হয়, ভারতবর্ষের পক্ষে থাকা পণ্ডিতরা যেন ঘর ছেড়ে চলে যায়। কাশ্মীর তৈরি হবে পণ্ডিত পুরুষদের তাড়িয়ে কেবল পণ্ডিতানী মহিলাদের নিয়ে। সমাজকর্মী টিকালাল টাল্লু এর প্রতিবাদ করলেন। তাঁকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হলো। কর্ননসরে বিচারপতি নীলকণ্ঠ সঞ্জুকে সকালবেলা হত্যা করা হলো। তখন ফারুক আব্দুল্লার সরকার সব দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। নীলকণ্ঠের দেহ প্রকাশ্য রাজপথে সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ে ছিল। গাজীকুবার শিক্ষিকা সিরিরাজ টিপ্পুকে প্রকাশ্যে গণধর্ষণ করা হলো। ৪ জানুয়ারি ১৯৯০ আবতার পত্রিকায় হিজবুল মুজাহিদিন বিজ্ঞাপন দিয়ে শাসানি দিল। ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি দাঙ্গা এত বীভৎস রূপ নেয় যে, কাশ্মীর উপত্যকা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির মা-বোনদের সম্মান বাঁচাতে কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হলো। হিজবুল সহ সবকটি মৌলবাদী শক্তির লাগাতার অত্যাচারে নিজের দেশেই উদ্বাস্তু হয়ে আছেন লক্ষ লক্ষ কাশ্মীরি পণ্ডিত। এ বিষয়ে আলোচনা অবশ্যই শুরু করা দরকার। কলকাতায় প্রতিবছরই কোনো না কোনো অতিবিপ্লবী গোষ্ঠী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের কোনো নেতাকে এনে অনুষ্ঠান করে। এই আয়োজকদের সঙ্গে হিজবুল নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতরা যাতে সুরক্ষিত ভাবে ফিরে যেতে পারে তার জন্য এইসব গোষ্ঠী সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে।
২০১০ সালে কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির ডাইরেক্টর এক ভয়ানক সংবাদ দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের জেহাদিদের জন্য আফগানিস্তানের তালিবানদের কাছ থেকে ‘রিমোট কন্ট্রোল্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ আনার কাজ করেছিল মাওবাদীরা। এর আগে ভারতবর্ষে এমন ভয়ানক অস্ত্র প্রযুক্তি জেহাদিদের কাছে ছিলই না। আজ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীরের যুবকদের কাছে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান করা হচ্ছে। আরবান নক্সালদের কাছে আজ এক পাপস্খালন করার বড়ো সুযোগ এসেছে। আগামী দিনের আদিল মহম্মদ দাররা লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হবে, প্রযুক্তিবিদ হবে, দেশের প্রগতির প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে একজন কাশ্মীরি। যাদের সঙ্গে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সামান্য হলেও সম্পর্ক তাদের এই সময় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে।
যে বন্ধুত্ব জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে, ইন্সাল্লা, ইন্সাল্লা’ স্লোগান দিয়েছিল, আলোচনা শুরু হলে হয়তো তা বদলে ‘ইয়ে বর্তন মেরে আবাদ রহে তু জিন্দেগি ক্ষমা কি সুরত খুদা হে মেরি’ ধ্বনিতে ধ্বনিতে মুখরিত হতে পারে।
অবশ্যই আলোচনা শুরু হতে পারে সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে। ৫৬৫টি দেশীয় রাজ্যের সঙ্গে কাশ্মীরের কোনো দিক থেকেই কোনো তফাৎ ছিল না। তাই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল হায়দরাবাদের মতো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাশ্মীরের ভারতভুক্তির পক্ষে ছিলেন। বাবাসাহেব আম্বেদকর এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে শেখ আব্দুল্লাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার সেনা তোমার সীমান্ত পাহারা দেবে আর ভারতবাসী কাশ্মীরে জমি কিনে বসবাস করতে পারবে না? এ হতেই পারে না।’ তবু বাবাসাহেবকে একপ্রকার ধোঁকা দিয়েই সংবিধানে ৩৭০ ধারা যুক্ত হলো।নেহরুর এই অদূরদর্শিতাকে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এক দেশে একজন প্রধান, এক বিধান (আইন) আর একটিই নিশান (পতাকা) করার দাবিতে তিনি পারমিট না নিয়েই কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। শেখ আব্দুল্লার প্রশাসন তাঁকে গ্রেপ্তার করে প্রকারান্তরে হত্যা করে। চিরকালের জন্য সমস্যা হয়ে থাকল কাশ্মীর। যে প্রাজ্ঞ অধ্যাপক মেজর গগৈয়ের সঙ্গে ইংরেজ জেনারেল ডায়ারের তুলনা করেছেন তিনি তো এ বিষয়টা অনেকের থেকে ভালো জানেন। আলোচনা শুরু করার জন্য তার থেকে যোগ্য ব্যক্তি আর কে হতে পারেন? অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে আজ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করা প্রয়োজন।
গোলা বন্দুক, আর ডি এক্স সত্যিই সমাধান আনার পথে অন্তরায়। যুক্তি আর মানবতার কথা ভাবলে উপরে বর্ণিত সবকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। কাশ্মীরের প্রতিটি মানুষকে ভারতের সঙ্গে একাত্ম করা উচিত। কিন্তু প্রখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায় অবশ্য অন্য কথা বলেন। তাঁর মতে, কাশ্মীর ভারতে নয়, পাকিস্তানে যাওয়া উচিত। ১৬ অক্টোবর কাশ্মীরের ভারতভুক্তির দিন। গত বছর পাক সরকার সরকারি ভাবে বিশ্বের দরবারে অরুন্ধতীর বক্তব্য পরিবেশন করেছে। সেক্ষেত্রে কাশ্মীরের হাজার বছরের ইতিহাস সংস্কৃতিকে ঝিলামের জলে ভাসিয়ে দিয়ে, কাশ্মীরের পণ্ডিত, জম্মুর ডোগরা আর লাদাখের বৌদ্ধদের জবাইয়ের বকরা বানিয়েও বিনাযুদ্ধে আলোচনা হতে পারে। সেই আলোচনায় পাকিস্তানের আই এস আই, কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদিন, জইস-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা আর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কেবল অরুন্ধতী রায় থাকলেই চলবে।
ড. জিষ্ণু বসু