জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির এক মৌলবির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। দ্য কাশ্মীর ফাইলস ফিল্ম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ধর্মগুরু। সামনে বসা জনতা তাকে সমর্থন করে, ইসলামী স্লোগান দেয়।
এই ভিডিওতে রাজৌরির জামে মসজিদের মৌলভি ফারুক 800 বছর ধরে ভারত শাসন করার কথা বলছেন। এর পরে, তিনি আল্লাহর কসম খেয়ে হিন্দুদের (যারা মাত্র 70 বছর ধরে শাসন করছেন) ধ্বংসের ঘোষণা দিচ্ছেন।
রাজৌরি জামে মসজিদের মৌলভী ফারুক যখন এই বিষ ফুঁকছেন, তখন তার সামনে ভিড়। জায়গাটা দেখতে একটা মন্দিরের মত। আলেমদের বক্তব্যের পর জনতা ‘নারা-ই-তাকবির’ ও ‘আল্লাহ-হু-আকবার’ স্লোগান দেয়।
দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর প্রযোজক বিবেক অগ্নিহোত্রী এই ভিডিওটি টুইট করেছেন এবং লিখেছেন, “রাজৌরির মৌলভি সাহেব বলছেন এই ছবিটি বন্ধ করা উচিত। আমরা 800 বছর ধরে তোমাকে শাসন করেছি। 70 বছরের শাসনে আমাদের চিহ্ন মুছতে চান? বন্ধুরা, একইভাবে কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি হিন্দুদের নাম-ও-চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় জেকে মিডিয়া ফেসবুকে ধর্মগুরুর পুরো ভাষণ আপলোড করেছে। সেই ভিডিওতে আলেম আরও বলেছেন:
“আপনি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মনে রেখেছেন কিন্তু লাখ লাখ কাশ্মীরি মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে, আপনার কানে উকুন থাকবে না। চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সারা ভারতে পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি ষড়যন্ত্র এবং আমরা এটির প্রশংসা করি। আপনারা হিন্দু-মুসলমানকে মারামারি করে রাজনীতি করতে চান। রাজনীতির আরও অনেক বিষয় আছে। আপনি নিজেকে লজ্জিত হওয়া উচিত…..আপনি পণ্ডিতদের রক্ত দেখেছেন, মুসলমানদের নয় কারণ তিনি কলমা পড়তে যাচ্ছেন। আপনি 32 বছর পর পণ্ডিতদের অনুভব করছেন।”
রাজৌরির জামে মসজিদের মৌলভি ফারুক এই সময় জনতাকে জিজ্ঞাসা করেন, “এই ছবিটি কি নিষিদ্ধ করা উচিত?” জবাবে জনতা এক কণ্ঠে ‘হ্যাঁ-হ্যাঁ’ বলতে থাকে। সেই সাথে পেছন থেকে শোনা যাচ্ছে ‘নারা-ই-তাকবির’, ‘আল্লাহ-হু-আকবার’, ‘নারা-ই-রিসালাত’ আওয়াজ।
ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে আরও বিশদভাবে, জেকে মিডিয়ার একজন সাংবাদিক বলেছেন, “এই ভিডিওটি শুক্রবার (২৫ মার্চ) জুমার নামাজের পরের। দ্য কাশ্মীর ফাইলস ফিল্ম নিয়ে মৌলভী এই বক্তব্য দিয়েছেন। মৌলভীদের কথায় আপত্তি আছে অনেকের। তিনি রাজৌরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশি পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে।”