ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানতুল্লা খানকে গ্রেফতার করল দিল্লির দুর্নীতিদমন শাখা। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য আমানতুল্লা দিল্লির আম আদমি পার্টির বিধায়কও। তিনি ওখলা থেকে নির্বাচিত হন।
দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আমানুতুল্লা এবং তাঁর সঙ্গীদের বাড়িতে তল্লাশির পর কিছু নথি দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকদের হাতে আসে। অভিযোগ, সেই নথিতেই আর্থিক দুর্নীতি সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে। সেই সূত্রেই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন আমানতুল্লা। তার পরেই গ্রেফতার।
আপ বিধায়ককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি আপ বিধায়ক। এক দিন আগেই আমানুতুল্লা টুইট করে জানিয়েছিলেন, দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে। তাঁর দাবি ছিল, ওয়াকফ বোর্ডের নতুন কার্যালয় নির্মাণ করিয়েছেন বলেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী টুইটে বলেন, ‘প্রথমে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হল, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে কোনও প্রমাণ নেই। আমার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হল, কিন্তু সেখান থেকেও কিছু পাওয়া যায়নি। কৈলাশ গেহলটের বিরুদ্ধে ভুয়ো তদন্ত শুরু করা হল। এখন আমানতুল্লাহ খানকে গ্রেফতার করা হল। আম আদমি পার্টির প্রত্যেক নেতাকে ভাঙানোর জন্য অপারেশন লোটাস জারি রয়েছে’।