একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে বাংলায়। আবাস যোজন দুর্নীতি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে উত্তাল পুরো রাজ্য। এবার এই দুর্নীতির প্রসঙ্গ শোনা যাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের অলিতেগলিতেও। দাবি করা হয়েছে, কর্মসূত্রে যারা ভিনরাজ্যে থাকেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সম্প্রতি এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা।
বহু বাঙালি যুবক আছেন যারা দক্ষিণ ভারতে বিভিন্ন হোটেলে খাবার দেওয়ার বা বাসন মাজার কাজ করেন। দুইবেলা খেয়ে দেয়ে যা বেঁচে থাকে, সেটা তাঁরা বাংলায় বসবাসকারী পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেন। বাংলায় ফেরার ব্যাপারে তাঁদের যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন কন্যাকুমারীতে কর্মরত এক বাঙালি বধূ বলেন, “দিদির উপর এখনও আস্থা আছে। কিন্তু বাংলার একের পর এক চুরির কথা আমাদের কানেও আসে। খুব লজ্জা লাগে। …নেতারাই সব চুরি করে নিল। আর হয়তো বাংলায় ফেরা হবে না….”। বলতে বলতেই শাড়ির আঁচল দিয়ে ছলছল করে ওঠা চোখ ও মুখটা একবার মুছে নেন তিনি।
অপরদিকে, কন্যাকুমারীতে অবস্থিত ভগবতী আম্মা মন্দির নিকটবর্তী এলাকায় থাকা এক হোটেলের ম্যানেজারের দাবি, “দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমরা সৎ বলেই জানি। মনে হয় কোনও ষড়যন্ত্র চলছে। হয়তো মন্ত্রীদের একাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত। … কিন্তু বাস্তবে কি হয়েছে সেটা এতদূর থেকে আমরাও বুঝতে পারি না। তবে যে মাটিতে বিবেকানন্দ জন্মেছিলেন সেখানে এই দুর্নীতি ভাবা যায় না”।