কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসেও বিতর্কের সূত্রপাত হল বিশ্বভারতীতে। কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বক্তব্য রাখতে গিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূচনা করলেন। সোমবার সকালে উপাসনা মন্দিরের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, ”অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই হল রাজনীতি। আমি যখন মন্দিরে বসে এই কথাগুলো বলি, আমি কিন্তু রাজনীতি করি।”
আর তারপরই তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তুমুল সমালোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশ্বভারতী উপাচার্যের মতে, ”ডেমোক্রেসি বলতে আমার বোঝই বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল। কিন্তু, আজকের পশ্চিমবঙ্গের কথা উল্লেখ করি। ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধি হয়েছি, তাই জনগণের টাকা নিজের মত করে নেব৷ অনেক সময় এই নেওয়ার যে প্রচেষ্টা, তাতে বদহজম হয়ে যায়। এই বদহজমের প্রকাশ আপনারা আজকের পশ্চিমবঙ্গে দেখছেন।”
সেই সঙ্গে তিনি জানান, ”আমি এখানে বসে এসব বলছি মানে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ মানেই রাজনীতি। আমি মন্দিরে বসেও রাজনীতি করছি। গুরুদেব প্রতিবাদ করে নাইটহুড ত্যাগ করেছিলেন, হিন্দু-মুসলিম বিভেদ দূর করেছিলেন।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ”গুরুদেব আমাদের কাছে একজন মানুষ তাই নয়, তিনি একজন চলমান দর্শন। সেই দর্শনকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আর যারা বিশ্বভারতীকে অবমাননা করে, তাদের চাবুক মারার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের।”
2022-08-09