দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরিতে হিংসার অন্যতম চক্রী ফরিদকে তমলুক থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর ধলহরা গ্রামে আত্মগোপন করেছিল ফরিদ। গোপন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানায় আসে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তারপর অতর্কিতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
সূত্রের খবর গত ২২ এপ্রিল দিল্লি থেকে তমলুকে এসেছিল ফরিদ। এলাকায় সে লিটু নামেও পরিচিত। প্রায় ৩৪ বছর আগে মহিষাদল থেকে দিল্লি চলে যায় ফরিদের পরিবার। সূত্রের খবর জাহাঙ্গিরপুরী এলাকায় তার একটি মাংসের দোকান চালাত লিটু। মাঝেমধ্যে মহিষাদলেো আসত। সেখানে তার একটি বাড়িও রয়েছে।
জাহাঙ্গীরপুরি হিংসার ঘটনায় ধরপাকড় শুরু হতেই মহিষাদলে ফিরে এসেছিল ফরিদ। তবে ফোনের সূত্র ধরে দিল্লি পুলিশের টিম তাকে পাকড়াও করে। এর আগে মহম্মদ আনসার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। সে আদতে দিল্লির বাসিন্দা হলেও মহিষাদলে বাড়ি রয়েছে তার। আনসারের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের ছবি ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। এবার গ্রেফতার ফরিদ ওরফে লিটু।
প্রসঙ্গত, ফরিদের বিরুদ্ধে আগেই ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় পুরনো ৬ টি মামলা রয়েছে। পুলিশের কথায়, সে হল রিপিট অফেন্ডার। অর্থাৎ তার অপরাধ প্রবণতা রয়েছে।