ভোট পরবর্তী হিংসা এবার দেখা যাচ্ছে দলের অন্দরেই। ফের প্রকাশ্যে এল কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠী। ফলে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রসন্নকুমার দেব শর্মা দলের কর্মসূচি থেকে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে বাদ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন।
জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয় তৃণমূল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দশ জন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল তৃণমূলের। তাঁদের মধ্যে থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন বীতিকা বর্মণ। বীতিকা বর্মণের বিরুদ্ধে কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য কয়েক মাস আগে অনাস্থা আনেন। বুধবার দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও-র উপস্থিতিতে তলবি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে বীতিকা বর্মনকে অপসারণ করা হয়।
এই তলবি সভায় উপস্থিত সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “বীতিকা বর্মণ অঞ্চল কমিটির সঙ্গে কথা না বলে নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করছিলন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর দল দুর্নীতিকে উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিডিও-র কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার তলবি সভা হয়। ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধানকে অপসারণ করা হয়।”
অন্যদিকে, দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রসন্নকুমার বলেন, “যে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তাঁরা দলের সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল বিরোধী কাজের জন্য প্রথমে তাদের শোকজ করা হয়েছিল। সেই শোকজের জবাব দেননি তাঁরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে বাদ রাখা হয়েছে তাঁদের। বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।”
এই ঘটনা শুনে জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “নিয়ম মেনে প্রধানকে অপসারণ করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রধানের অপসারণ চেয়েছিলেন। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও সেটা চেয়েছেন। তবে এটা না হলেই ভাল হতো।”
2021-07-02