নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘটেছে হিংসার ঘটনা। ভোট-পরবর্তী হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন অনেক বিজেপি কর্মী। কেউ পালিয়ে গিয়েছে না আসামে, কেউবা পালিয়ে গিয়েছে ঝারখন্ড, তারাপীঠ, মুর্শিদাবাদে। এসব বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরা নিয়েও ঘটছে একাধিক ঘটনা। বিজেপি নেতৃত্বের তরফে বারবারই দাবি করা হয়েছে, কাউকে যেতে হচ্ছে জরিমানা, কাউকে কাউকে খেতে হচ্ছে মার। প্রশাসনের আশ্বাসে ঘরে ফেরার পরেও একই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর দু’নম্বর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামে।।
নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর থেকেই কার্যত ঘরছাড়া হয়ে পড়েছিলেন শ্রীরামপুর গ্রামের বিজেপি বুথ সভাপতি সাগর পন্ডিত। এক বেসরকারি অফিসে কাজ করে দিন গুজরান করেন তিনি। কয়েকদিন আগে জেলা বিজেপির তরফ থেকে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর। সেই সূত্র ধরেই ফের একবার গ্রামে ফিরে আসেন সাগর। কিন্তু মঙ্গলবার অফিস যাবার সময় হঠাৎই পাল্লা মোড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিমান ঘোষ তার পথ আটকান বলে অভিযোগ। মোটরসাইকেল থামিয়ে তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় হেলমেট। শুরু হয় গালিগালাজও। আর তারপরেই হেলমেট দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয় সাগর বাবুর মাথায়। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি। আপাতত দলীয় কর্মীরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ইতিমধ্যেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের অভিনেতা বিমান ঘোষের বিরুদ্ধে।
সাগরবাবুর দাবি, শ্রীরামপুর গ্রামে ভালো ফল করেছে বিজেপি, আর সেই কারণেই তার ওপর এ ধরনের অত্যাচার। এর আগেও বোলপুরে প্রায় ৭০০ জন বিজেপি কর্মীর ঘরছাড়া হয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছিল, মাঠের ফসল নষ্ট হচ্ছে মাঠেই অথচ ফিরতে পারছেন না বিজেপি সমর্থক ঐ বাসিন্দারা। তবে পুলিশ তরফে নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছিলেন, তাদের তালিকা দিলেই ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা করা হবে, ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের। কিন্তু প্রশাসনের আশ্বাসে ঘরে ফেরার পর এ ধরনের ঘটনা আগামী দিনে কি প্রভাব তাহলে সেটাই এখন দেখার।