পলাতক মদ ব্যাবসায়ি বিজয় মালিয়া আরও একবার ট্যুইট করে সরকারি ব্যাঙ্কের থেকে নেওয়া ঋণের প্রতিটি পয়সা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিলো। কিংফিশার এয়ারলাইন্স এর প্রাক্তন মালিক ৬৩ বছর বয়সী বিজয় মালিয়া লন্ডন হাইকোর্টে ব্যাঙ্কের সাথে জালিয়াতি আর আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ভারতে প্রত্যার্পণ করার মামলা লড়ছে। এই মামলার আগামী শুনানি ২০২০ এর ফেব্রুয়ারি মাসে হবে।
কংগ্রেস আমলে বিজয় মালিয়া ভারতের রাজ্যসভা সাংসদ ছিল। দেশের বড় বড় মন্ত্রীদের নিজের প্লেনে বসিয়ে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে বেড়াতেন। শুধু এই নয়, সোনিয়া গান্ধীকেও ইনি নিজের প্লেনে বসিয়ে ভ্রমণ করাতেন। সমস্থ ব্যাঙ্কের লোন কংগ্রেস সরকারের আমলেই পেয়েছিল বিজয় মালিয়া। যতদিন কংগ্রেস ছিল ততদিন বিজয় মালিয়া রাজার মতো ঘুরে বেড়াতো।
ভারত দেশকে নিজের সম্পত্তি মনে করে এদিক ওদিক দুনাম্বারি ব্যাবসা করতে লাফিয়ে বেড়াতো। কিন্তু মোদী আসার পর থেকে কাহিনী পুরো পাল্টে গেছে। মোদী ক্ষমতায় আসা মাত্র মালিয়া দেশ থেকে পলায়ন করেছিল। এখন মালিয়া লন্ডনে বসে আইনি লুকোচুরি খেলছে।
মোদী সরকার মালিয়ার অবস্থা পুরো খারাপ করে রেখেছে। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে ছেড়ে পলাতক চোরদের জন্য বিশেষ বিশেষ কিছু বিল পাশ করিয়ে আইন তৈরি করেছিল। এখন সেই আইন বিজয় মালিয়ার মতো লোকেদের গলায় পরিয়ে টান দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে।
মোদী বিজয় মালিয়ার অবস্থা কতটা খারাপ করেছে সেটা তার সম্প্রতি দেওয়া মন্তব্য থেকেই বোঝা যায়।