রাম মন্দির তৈরির দাবি বহুদিনের। এমনকি রাম মন্দির নির্মাণের উপকরণও নাকি অনেকাংশেই তৈরি, এমনটাও বিশ্বাস করা হয়। অবশেষে আদালতের রায়ে সেই রামমন্দির গড়ার সমর্থন মিলেছে। কেমন হবে সেই রাম মন্দির। ইতিমধ্যেই সেই পরিকল্পনবা করে ফেলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
রামমন্দিরের অনেকগুলি মানচিত্রকে সামনে রেখে নতুন রামমন্দির নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বেশিরভাগের বিশ্বাস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত ওই মানচিত্র মূল রাম মন্দিরের মতো। সেই আদলেই কয়েক বছর ধরে অযোধ্যাতে স্তম্ভ ও দরজাগুলি খোদাই করা হচ্ছে। গর্ভগৃহটির বিশদ বিবরণ রয়েছে সেখানে। গর্ভগৃহটি বিশেষ ভাবে তৈরি করা হবে। সেখানেই রামের পুজো হবে।
মন্দির জুড়ে মোট ২১২টি স্তম্ভ থাকবে। দুটি পর্যায়ে ১০৬টি করে স্তম্ভ। এর প্রায় অর্ধেক পিলার প্রস্তুত রয়েছে এবং অর্ধেক পিলার এখনও তৈরি হচ্ছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনুমোদিত নকশা অনুসারে, ছাদের উপরে একটি ‘শিখর’ থাকবে, যা এই পরিকাঠামোকে গ্র্যান্ড রাম মন্দিরের চেহারা দেবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত কাঠামোটি ১২৮ ফুট উঁচু হবে। এটি প্রস্থে ১৪০ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ২৭০ ফুট হবে। এই বিশাল কাঠামোটিকে অনন্য করে তুলতে কোনও ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই প্রস্তাবিত রামমন্দিরে ৫টি প্রবেশ পথ থাকবে। সিংহ দ্বার, নৃত্য মণ্ডপ, রান্ড মণ্ডপ, পূজা ঘর এবং ‘গর্ভ গৃহ’। রামলালার মূর্তিটি ওই গর্ভগৃহে রাখা হবে।
মন্দিরটির সম্পূর্ণ নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১.৭৫ লক্ষ ঘনফুট বেলেপাথরের প্রয়োজন। ১৯৯০-এর প্রথম দিকে এই কাজ শুরুর পর অনেক কিছু করা হয়েছে, কিন্তু আরও বেলেপাথর, আরও খোদাই করা কাজ বাকি। পাথরে খোদাই করা এই মন্দির নির্মাণই এখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লক্ষ্য। সেইমতোই প্রস্তাব রেখেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।