পশ্চিমবঙ্গে আইন বলে কিছু নেই। এমনটাই মন্তব করলেন, ভিএইচপির কার্যকরি সভাপতি আলোক কুমার। জিয়াগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক কয়েকদিন আগে আরএসএসে যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। তার জেরেই সপরিবারে তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এই ঘটনার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানাল আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী শিবির। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই দাবি আরও জোরদার হয়েছিল।বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরি সভাপতি আলোক কুমার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কেন্দ্রের উচিত রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা ভাবা। কেরলের থেকেও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খারাপ বলে দাবি করেছেন তিনি।
এর আগে জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মৃত ওই আরএসএস কর্মীর নাম বন্ধু প্রকাশ পাল৷ খুন করা হয়েছে তাঁর গোটা পরিবারকে৷ দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল ও ৬ বছরের শিশুসন্তান আনন্দ পালের৷
এদিন সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতর থেকেই দেহগুলি উদ্ধার করেন৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে৷ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান এই তিনজনকেই কোনও ধারাল অস্ত্রের সাহায্যে খুন করা হয়েছে৷ স্ত্রী বিউটি পাল গর্ভবতী ছিলেন বলে সূত্রের খবর৷
যে অস্ত্র দিয়ে আরএসএস কর্মীর পরিবারকে খুন করা হয়েছে, তা উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর ওই মৃত আরএসএস কর্মী পেশায় স্কুল শিক্ষক ছিলেন৷ গত ২০ বছর ধরে মুর্শিদাবাদের গোঁসাইগ্রাম সাহাপাড়া প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন তিনি৷
পুলিশ জানিয়েছে আদতে সাহাপুরের বাসিন্দা হলেও, ছেলের পড়াশোনার জন্য ওই পরিবার পরে মুর্শিদাবাদে চলে আসে৷ কোনও বিবাদের জেরে এই খুন কীনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন কোনও শত্রুতা ওই পরিবারের কারোর সঙ্গে ছিল না৷ তবে খুব নির্মম ভাবে ওই পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷