‘হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করলে সংরক্ষণের সুবিধে বন্ধ হোক’, নয়া দাবিতে আন্দোলনে নামছে ভিএইচপি

দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। সেই নিয়ে জোর চর্চা চলছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যেই নতুন দাবি নিয়ে পথে নামতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কী সেটা? বিশ্ব হিন্দু পরিষদ চায়, হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম বা খ্রিস্টান হলে তাঁরা যেন আর সংরক্ষণের সুবিধে না পায়।

অর্থাৎ তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির হিন্দুরা যদি ধর্ম বদল করেন তবে তাঁদের লেখাপড়া, চাকরি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিষদ মনে করছে, এমন নীতি চালু হলে দেশে ধর্মান্তরকরণ কমবে।

পরিষদের সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার সম্প্রতি বিবৃতি জারি করে দাবি করেন, ‘গোটা দেশেই তফসিলি জাতি, জনজাতি সমাজের মানুষদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। অনেকেই ধর্মান্তরণের পরেও হিন্দু হিসাবে সংরক্ষণের যাবতীয় সুযোগসুবিধা নিয়ে চলেছেন। এটা বন্ধ করতে দেশের সর্বত্র প্রচারাভিযান চলবে।’
পরিষদ ইতিমধ্যেই এ নিয়ে বড় মাপের আন্দোলনে নামতে ‘সামাজিক সমরসতা অভিযান’ নামে কর্মসূচি নিয়েছে। তার প্রধান করা হয়েছে গুজরাতের নেতা তথা পরিষদের সর্বভারতীয় সম্পাদক দেওজিভাই রাওতকে। তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষণের সুবিধা শুধু হিন্দুদেরই পাওয়ার কথা। কারণ, জাতপাতের কারণে হিন্দু সমাজের যে অংশ দীর্ঘ দিন ধরে বঞ্চিত, তাঁদের আর্থিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠা দেওয়ার জন্যই সংরক্ষণ। মুসলমান বা খ্রিস্টান ধর্মে এমন কোনও জাতিভেদ নেই বলেই দাবি করা হয়। তাই যাঁরা হিন্দু থেকে মুসলমান বা খ্রিস্টান হচ্ছেন, তাঁদের আর সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.