রাজস্থান সীমান্তবর্তী হরিয়ানার নুহান জেলায় হিন্দু সংগঠনের জলাভিষেক যাত্রায় মুসলিম সম্প্রদায়ের হামলার খবর সামনে আসছে। হয়। সোমবার (৩১ জুলাই, ২০২৩) ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় লাঠিসোঁটা ও তরবারি নিয়ে হামলার পাশাপাশি পাথর ছোড়াও হয়েছে। কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে থেকে বাহিনী তলব করতে হয়।
পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, মেওয়াত এলাকায় ১৪৫ ধারা জারি করা হয়েছে এবং ২ আগস্ট পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে কয়েক ডজন গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদনেও গুলি লেগে দুইজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরে ভাংচুরের কথাও আছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নুহের নালহাদ শিব মন্দির এলাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। সোমবার এখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও দুর্গাবাহিনী যৌথভাবে ব্রিজ মণ্ডল যাত্রা বের করে। যাত্রায় পুলিশ বাহিনীও উপস্থিত ছিল। ধর্মীয় মিছিলটি মন্দির থেকে বের হয়ে ফিরোজপুর-ঝিরকার দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু লোকজন ভক্তদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
তর্কাতর্কির কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পাথর ছুড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। হরিয়ানা শিবসেনা (শিন্দে দল) নেতা ঋতুরাজ আগরওয়াল বলেছেন যে হামলাকারীরা মহিলা সহ প্রায় 4500 হিন্দুকে ধরে নিয়ে গেছে।
সহিংসতার কারণে নূহ বাজার বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়ও। খোদ হোদাল প্রভৃতি এলাকায় গোলযোগ দেখা দেয়, যার জেরে কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। পাথর ছোড়ার অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হচ্ছে। এ ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহতদের ভিডিওও সামনে এসেছে। এসব ভিডিওতে দেখা যায় যানবাহন পুড়ে যাচ্ছে এবং আহতদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আহতদের মধ্যে একজনের মাথায় আঘাত লেগেছে। ভুক্তভোগী বলেন, সহিংসতার সময় পাশে দাঁড়িয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। শহরের অনেক জায়গায় কালো ধোঁয়াও উঠতে দেখা যায়।
OpIndia-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঋতুরাজ জানান, একটি থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সহিংসতা কবলিত এলাকায় প্রায় এক ডজন গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং শত শত মেয়ে আটকা পড়েছে। ঋতুরাজ আরও জানান, অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।