দেশজুড়ে ১৫ দিন ব্যাপী রামমন্দির নির্মানের উৎসব পালন করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

সারা দেশ জুড়ে আগামী ১৫ দিন ধরে শ্রীরাম মহোৎসব পালন করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মানের প্রচার করতে দেশজুড়ে এই উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিষদ।

এই প্রচার উৎসব শুরু হবে আগামী ২৫ মার্চ থেকে। ঐ দিন থেকে নবরাত্রিও শুরু হবে। এই প্রচার উৎসব শেষ হবে ৮ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীর দিন। নবরাত্রি ও হনুমান জয়ন্তী এই দুটি হিন্দুদের অত্যন্ত পবিত্র উৎসব। এছাড়া এই উৎসবের সঙ্গে রামায়ণও জড়িয়ে আছে। ফলে গ্রাম হোক বা শহর এই দুই উৎসব পালনের মাধ্যমে রামমন্দির নির্মানের প্রচারকে বড় আকারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেই মনে করছেন পরিষদের নেতৃত্বরা।

রামমন্দির নির্মানের লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ঐ সময় ২লক্ষ ৮৫ হাজার গ্রাম থেকে রামমন্দির নির্মানের জন্য রাম শিলা(ইট) ও পাঠানো হয়েছিল। এবার ১৫ দিন ধরে এই শ্রীরাম মহোৎসবের উপলক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা আবার সেই সব মন্দির নির্মাণ আন্দোলনকারীদের গ্রামবাসীর কাছে পৌছবেন। সেই সব মানুষদের আবার রামমন্দির নির্মান তথা মন্দির নির্মাণের তহবিল গঠন অভিযানের সাথে যুক্ত হবার আহ্বান জানাবে।

গত ৯ নভেম্বর দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে চলা রামমন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার নিষ্পত্তি হয়। বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মানের পক্ষে রায় দেয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। একই সঙ্গে সরকারকে নির্দেশ দেন অন্যত্র পাঁচ একর জমি দিতে মসজিদ নির্মাণের জন্য।

পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন যারা রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তাদের সকলকে এই মহোৎসবে অংশ গ্রহণ করার জন্য বলা হবে। অনেকে দেশের বাইরে থেকেও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। তাদেরকেও মন্দিরের তহবিল গঠনের জন্য আহ্বান জানানো হবে।

এই উৎসব পালনের সময়টি ধর্মীয় কারণেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পরিষদের নেতৃত্বরা। কারণ নবরাত্রি ছাড়াও ২ এপ্রিল রামনবমী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই উৎসবের পুরো পরিকল্পনাটি করেছে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুর বৈঠকে।

ইতিমধ্যেই রামমন্দির নির্মানের জন্য গঠিত ট্রাস্টের প্রথম বৈঠক হয়েছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে। পরের বৈঠক হবে অযোধ্যায়। পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন তারা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে এই মহোৎসব চলাকালীন অর্থাৎ ওই ১৫ দিনের মধ্যেই রামমন্দির নির্মানের কাজ শুরু করেন তারা।

পরিষদের তরফে আরও বলা হয় যখন রামমন্দির মামলার রায় ঘোষণা হয়েছিল তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোথাও কোনো উৎসব পালন করা হয়নি। কিন্তু এবার তারা ১৫ দিন ধরে উৎসব করতে চলেছেন। একই সঙ্গে তারা ট্রাস্টের কাছে এই আবেদনও জানাবেন যাতে রামজন্মভূমি ন্যাসের প্রণোদিত রামমন্দিরের মূল কাঠামোয় কোন পরিবর্তন না করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.