প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ১০০ জনকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন, বড়সড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসবে করোনার ভ্যাকসিন। তিনটি ভ্যাকসিন নিয়ে এই মুহূর্তে চলছে কাজ।

বিজ্ঞানীদের সবুজ সঙ্কেত মিললেই সেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এহেন মন্তব্য আশা জাগিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নয়া আশার আলো দেখিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকে করোনা ভ্যাকসিন পাবেন। পাটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তিনি জানান, ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অশ্বিনী কুমার বলেন, “আমরা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য সরঞ্জামের বন্দোবস্ত করছি। ভ্যাকসিন কীভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বন্টন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। এক একটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাবেন।”

যদিও এই ভ্যাকসিন আসলেও প্রথমে কারা পাবেন? মোদীর ঘোষণার পরেই তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যদিও এই বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন যে, প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন করোনা-যোদ্ধারা। গত কয়েকদিন আগে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়।

সেখানে তিনি জানান, ‘যাদের জন্য ভ্যাকসিন খুব জরুরি তারা আগে ভ্যাকসিন পাবে। এ নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।’

শুধু তাই নয়, খুব শীঘ্রই বিভিন্ন দেশকেও করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এহেন ঘোষণার পরেই কার্যত সরকারের তরফে একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি ওষুধ নিয়ে এখন কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, যে কোনও একটি ভ্যাকসিনকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে বলেই খবর।

জানা যাচ্ছে, কীভাবে সেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেই পরিকল্পনাও ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ধাপে একেবারে সামনের সারিতে থাকা ‘কোভিড-যোদ্ধা’দের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন।

প্রায় ২ কোটি ‘কোভিড-যোদ্ধা’কে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই তালিকার প্রথম শুরুতেই রয়েছে পুলিশ, সিকিউরিটি পার্সোনাল, পুরসভার কর্মীরা। এছাড়াও যে সমস্ত কর্মীরা একেবারে সামনে থেকে করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তাদেরকেও দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত সরকারের। এরপর তৃতীয় ধাপে আরও বেশ কয়েকজনকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন।

জানা যাচ্ছে, তৃতীয় ধাপে সিনিয়র সিটিজনদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা, প্রায় ২৭ কোটি বয়স্ক মানুষকে দেওয়া হবে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.