ব্রিটেনের টিকা সংক্রান্ত নিয়মবিধি নিয়ে ইতিমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তা এবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রুসের আলোচনায় উঠে এল। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন জয়শংকর। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কী আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মুখ খোলা হয়নি। তবে নয়াদিল্লির ক্ষোভ সামলাতে ইতিমধ্যে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের মুখপাত্র।
সোমবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। তারপর টুইটারে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে মত আদান-প্রদান করেছি। উভয়ের স্বার্থে দ্রুত নিভৃতবাসের নিয়মের বিষয়টি সমাধানের আর্জি জানিয়েছি।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সম্প্রতি ব্রিটেনের জারি করা করোনাভাইরাস টিকা সংক্রান্ত নয়া নিয়ম অনুযায়ী, যে ভারতীয়রা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড নিয়েছেন, তাঁদের টিকা পাননি বলে বিবেচনা করা হবে। ব্রিটেনে নামার পর ওই ভারতীয়দের ১০ দিনের বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসে থাকতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়। যে নির্দেশিকা আগামী ৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন ভারতীয়রা। কারণ ভারতে মূলত কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অনুমোদন পায়নি। এবার কোভিশিল্ড প্রাপকদের ‘টিকাহীন’ বিবেচনা করলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ভারতীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। বিশেষত ব্রিটেনে যাওয়া ভারতীয়দের টিকাকরণের বিষয়ে একাধিকবার লন্ডনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এবং বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। গত জুলাইয়ে ব্রিটেন সফরে গিয়ে ভারতীয়দের যাতায়াতের উপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব। ফ্রান্সের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে যাঁরা যাচ্ছেন, করোনা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ এবং করোনা পরীক্ষা নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে তাঁদের নিভৃতবাসে থাকতে হচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির ক্ষোভ সামাল দিতে আসরে নামেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘ভারতে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে টিকাপ্রাপ্তদের শংসাপত্রে ব্রিটেনের স্বীকৃতি কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি।’