উত্তরাখণ্ডের রবিবারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে নজর গিয়ে পড়েছে ১২,০০০ কোটি টাকার চারধাম
প্রকল্পে যা মোদী সরকারের এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা যার মাধ্যমে হিন্দু তীর্থস্থান যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রিনাথকে উন্নত সড়ক পথে যোগাযোগ করা হচ্ছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন এবং প্রথমে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাস। এদিকে রাস্তা চওড়া করাসহ পরিবেশগত উদ্বেগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে প্রকল্প চলে যাওয়ায় দুবার সময়সীমা বাড়িয়ে দিতে হয়েছে ।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের বরিষ্ঠ আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবারের এই ঘটনার পর প্রকল্পের ভবিষ্যতে প্রভাব পড়বে। তিনি জানিয়েছেন,১৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কি নির্দেশ দেয় তার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন কারণ ওই দিনটি চার ধাম প্রকল্প ঘিরে কেন্দ্র এবং দেরাদুন ভিত্তিক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যেকার মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য হয়েছে।
মন্ত্রক প্রথমে পরিকল্পনা করেছিল ৮১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ১০মিটার চওড়া চার ধাম সড়ক করার। এরমধ্যে মন্ত্রক ৩৬৫ ইতিমধ্যেই নির্মাণ সম্পূর্ণ করেছে, অন্যদিকে পাহাড় ভেঙ্গে ১০ মিটার চওড়া আরও ৫৩৭ কিলোমিটার চওড়া রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় চার ধামের গোটা রাস্তা সড়ক মন্ত্রকের ২০১৮ সালের মার্চ মাসের সার্কুলার অনুসারে ৫.৫ মিটার চওড়া হবে। হাইকোর্ট নিযুক্ত পরিবেশবিদ রবি চোপড়ার নেতৃত্বাধীন হাই পাওয়ার কমিটিও এটাই সুপারিশ করেছিল। মন্ত্রক অবশ্য অনুসরণ করে ২০১২ সালের নির্দেশ যাতে লেনের রাস্তা ১০ মিটার চওড়া করার কথা বলা হয়েছিল।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে রাস্তা চওড়া করতে অতিরিক্ত পাহাড় কাটা হয়েছে, মন্ত্রকের এখন এটা সম্মোহন করার ব্যবস্থা নিতে হবে যেমন গাছ লাগানো যাতে হিমালয়ের ভূখণ্ড সুরক্ষিত রাখা যায় এবং স্থানীয় লোক এবং পদযাত্রীর জন্য ফুটপাত রাখতে বলেছিল হাই পাওয়ার কমিটি তাদের সুপারিশে। এর পাশাপাশি ওই কমিটি নির্দেশ দিয়েছিল নতুন করে পাহাড় কাটা যাবে না ওই প্রকল্প অথবা নতুন কোন প্রকল্পের জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত রাপিদ এনভায়রনমেন্ট ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট আসছে।তবে এই ১০মিটার চওড়া রাস্তা করার ক্ষেত্রে সড়ক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চাপ দিয়ে আসছিল।