রবিবার উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে তুষারধসের ঘটনায় ৯-১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হল। তবে হতাহতের সংখ্যা ১০০-১৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব ওমপ্রকাশ। 

আইটিবিপি-র ডিজি এস এস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন কাজ করছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে ৯-১০ জনের  দেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনাস্থলে আছেন আইটিবিপি-র ২৫০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

আইটিবিপি-র ডিজি আরও জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের তপোবন বাঁধের কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে ২০ প্রায় জন কর্মী আটকে পড়েছেন। আইটিবিপি-র দল তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য আমরা এনটিপিসি-র আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।

উল্লেখ্য, রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ তপোবনের কাছে হিমবাহে ফাটল ধরে হড়পা বান আসে। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। রেনি গ্রামের তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে হৃষিগঙ্গার উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের। নদীর দু’ধারে অবস্থিত অসংখ্য বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত, ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ডিজির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.