
করোনা (Corona) প্রতিরোধে সক্রিয় হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস (RSS) ৷ নাগপুরে সংস্থার শীর্ষ স্তরের পদাধিকারীদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বার সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের অধিবাসীদের কাছে মাস্ক, খাবারের প্যাকেট, সাবান বিলি করার কাজ শুরু করল আরএসএস (RSS) ৷ করোনা প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আরএসএস (RSS) -র ৭০,০০০ শাখা সংগঠন গুলির হাতে৷ প্রতিটি শাখার দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীর কাছে এই মর্মে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে বলে নয়াদিল্লিতে জানান আরএসএস (RSS) -র এক পদাধিকারী৷
মাস্ক, খাবারের প্যাকেট ও সাবান বিলি করার এই উদ্যোগের পাশাপাশি এ বার সঙ্ঘ পরিবারের সহযোগী সংগঠনগুলিও উদ্যোগী হচ্ছে করোনা (Corona) প্রতিরোধের লক্ষ্যে৷ এর অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলির সঙ্গে যুক্ত ৫০০০ চিকিৎসক এ বার সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে নিজেরাই ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইবেন তাদের হাল হকিকত৷ কোনও বয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর দায়িত্বের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবেন এই চিকিৎসকরা৷ রাষ্ট্রীয় সেবা ভারতী, আরোগ্য ভারতী (Arogya Bharati) এবং ন্যাশনাল মেডিকো অর্গানাইজেশন (National Medico Organization) -এর নথিভুক্ত চিকিৎসকরাই এই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে চলেছেন, জানা গিয়েছে আরএসএস সূত্রে৷

দিন তিনেক আগে দিল্লিতে (Delhi) আরএসএস (RSS) পরিবারের দুই শীর্ষ পদাধিকারী সাক্ষাৎ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে৷ সূত্রের খবর, সে দিনের বৈঠকেই সঙ্ঘ পরিবারের তরফে তাদের পরিকল্পনার কথা জানানো হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সামনে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের চিকিৎসা পরিকাঠামোর পাশাপাশি সারা দেশে বিস্তৃত সঙ্ঘ পরিবারের ৭০,০০০ শাখাকে ব্যবহার করে করোনার (Corona) বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করা গেলে তা দেশের সামগ্রিক লড়াইকে আরও সমৃদ্ধ করবে জেনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীও তৎক্ষণাৎ তাঁর সম্মতি প্রদান করেন৷ সমগ্র পরিকল্পনার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নাগপুরে (Nagpur) সংস্থার শীর্ষ স্তরের পদাধিকারীদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানানো হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে৷

এর পাশাপাশি, সঙ্ঘ পরিবারের তরফে সব রাজ্যের জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধিরও একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ এই প্রকল্পে সব থেকে বড় ভূমিকা গ্রহণ করবেন সঙ্ঘ পরিবারের প্রথম সারির ১৪০০ পদাধিকারী৷ তাঁরা সবাই সঙ্ঘ পরিবারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক শাখা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার সদস্য৷ গত ১৫-১৭ মার্চ এই প্রতিনিধি সভার তিন দিনের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, করোনা (Corona) প্রভাবের জেরে যা বাতিল করা হয়েছে৷ এঁদের প্রত্যেককে নিজেরে নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়ে করোনা প্রতিরোধে সঙ্ঘ পরিবারের যাবতীয় পদক্ষেপে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কোনও একটি রাজ্যে করোনা (Corona) প্রতিরোধ কর্মসূচিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে নাগপুরে (Nagpur) সংগঠনের শীর্ষ স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছে এঁদের হাতেই৷
কেবল তাই নয়,এই সময় ব্লাড ব্যাংকে সকল রকম রক্ত না থাকার নিমিত্ত তাঁরা রক্ত দান করার ব্যবস্থাও করেছেন। শেওড়াফুলি ওয়ালস হাসপাতালে রক্ত সংকট তৈরি হওয়ায় RSS স্বয়ংসেবকেরা আজ থেকে প্রতিদিন ২, ৩ জন করে রক্ত দিয়ে হাসপাতাল চালু রাখবেন।
সবাই মিলে বলুন-
নমস্তে সদা বৎসলে মাতৃভূমে ত্বয়া হিন্দুভূমে সুখং বার্ধিতোঽহম্ মহামঙ্গলে পুণ্যভূমে তদর্থে পতত্বেষ কায়ো নমস্তে নমস্তে ।।