ফের ভারতকে পাশে নিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সবসময়ই আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে। উল্লেখ্য দুদিনের সফরে ভারতে রয়েছেন পম্পেও। এদিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কূটনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি।
চিন সঙ্গে টানাপোড়েন অব্যাহত ভারতের। এরই মধ্যে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর মার্কিনী বার্তায় রক্তচাপ বাড়বে চিনের, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লাদাখে যেভাবে বারবার চিন আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, তাতে সীমান্ত পরিস্থিতি সুবিধার নয়। তবে তৈরি রয়েছে ভারত।
এদিন মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন বিশ্বের যে কোনও দেশের কাছ থেকে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত পড়লে পাশে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সীমান্তে কোনও আপোষ করা হবে না ও কোনও বহিরাগত শক্তির কাছে ভারত মাথা নত করবে না বলেও এদিন আশাপ্রকাশ করেছেন পম্পেও।
পম্পেও জানান, ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতেই তাঁদের এই সফর। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে বলে জানান তিনি। এর আগে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারের বৈঠকে জানা যায়, সামরিক ক্ষেত্রে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। কৌশল গত দিক থেকে এই মুহুর্তে আমেরিকা সমর্থন ভারতের প্রয়োজন, চিনকে মোকাবিলা করার জন্য। সোমবারের এই বৈঠকে সেনা সহায়তা, অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের আদান প্রদানের বিষয়ে কথা হয়েছে দুই দেশের বলে সূত্রের খবর।
২+২ মন্ত্রী স্তরের বৈঠকের আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই সাইডলাইন বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বৈঠকের পর ট্যুইট করেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন ২৬ তারিখের বৈঠক বেশ সফল হয়েছে। বিশ্বের দুই অন্যতম বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ নিজেদের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর একটি বিশেষ তথ্য তুলে ধরতে চান বলে খবর। সেই বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উপগ্রহ তথ্য নেবে ভারত।