আপনি যদি আপনার শত্রুর দুর্বল পয়েন্ট কোথায় জানেন, তাহলে খুব সহজেই সেখানে আঘাত করে আপনি তাকে ধরাশায়ী করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এক দেশের সাথে অন্য দেশের লড়াইয়ে দুর্বল পয়েন্টে আঘাত করার উপর ব্যাপক কাজ করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত, চীন ও আমেরিকার পরিপ্রেক্ষিতে বড়ো আপডেট সামনে এসেছে। আসলে বিগত কয়েক ঘন্টায় এমন কিছু হাইভোল্টেজ ঘটনা ঘটেছে যা পুরো বিশ্বের নজর কেড়েছে।
আসলে ভারত ও আমেরিকা একসাথে চীনকে চেপে ধরেছে। যে দ্রুতগতিতে ঘটনাক্রমগুলি হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে পুরো পরিকল্পনা ভারত, আমেরিকা আগে থাকতেই করেছিল। ঘটনার শুরু হয় এক সপ্তাহ আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর টুইট দ্বারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দালাই লামার জন্মদিন উপলক্ষে এক টুইট করেন। সেখানে তিনি দালাই লামকে শুভেচ্ছা জানান।
আর এর সাথে সাথে তিব্বতে চীনের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠে। টুইটের প্রভাব এতটাই ছিল যে জিনপিংকে সমস্ত কাজ ছেড়ে দৌড়াতে হয় তিব্বতে। সেখানে তিব্বতের প্রতি চীনের প্রেম নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর তিব্বত কার্ড খেলা দেখে মাঠে নেমে পড়ে আমেরিকা।
আমেরিকা বিদেশমন্ত্রী তিব্বত কার্ডের খেলাকে আরো উস্কে দিতে চলে আসেন ভারতে। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী এন্তনি ব্লিঙ্কন (Antony Blinke) ভারতে এসে তিনি প্রথমেই দেখা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সাথে। এরপরই তিনি দালাই লামার প্রতিনিধির সাথে মিটিং করেন। জানিয়ে দি, আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী সেই ব্যাক্তির সাথে মিটিং করেন যিনি চীনকে দু টুকরো করে তিব্বত দেশ তৈরির জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। দু দিন আগেই আমেরিকা এই মিটিংয়ের ঘোষণা করেছিল।
আমেরিকার ঘোষণা শুনে চীনের তরফ থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকা চীনের হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে দালাই লামার প্রতিনিধির সাথে মিটিং করেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে অবধি পুরো বিশ্বে তিব্বত বা দালাই লামাকে নিয়ে কোনো চর্চা ছিল না। তবে এখন ভারত ও আমেরিকা একসাথে মাঠে নামে যে খেলা শুরু করেছে তাতে একবারে কোনঠাসা ড্রাগন।