চিনের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের পাশেই আমেরিকা, ইঙ্গিত দিল হোয়াইট হাউস

চিনের (china)সঙ্গে ভারতের (India)সংঘাতে একাধিকবার ভারতকে সমর্থনের সুর শোনা গিয়েছে আমেরিকার গলায়। চিনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন সচিব ও আধিকারিকেরা।

এবার সরাসরি ভারতের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিল হোয়াইট হাউস(White House)।

সোমবার হোয়াইট হাউসের এ শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ভারত-চিন সংঘাতে মার্কিন সেনা বিশেষ ভূমিকা নেবে। দক্ষিণ চিন সাগরে দুটি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার মোতায়েন করার পরই এমনটা বললেন হোয়াইট হাউসের আধিকারিক।

হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোস বলেছেন, ‘একটা বিষয় খুব পরিস্কার যে আমরা কোনও অবস্থাতেই চিনের পাশে থাকব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত-চিন সংঘাত হোক বা অন্য কোথাও, আমাদের সেনা সবসময় দৃড়ভাবে কাজ করবে।’

লাদাখ সীমান্তে সংঘাত এখনও জারি আছে। এবার গালওয়ান থেকে কিছুটা সরে গেল চিনের সেনা। সোমবার এমনই রিপোর্ট এসেছে। জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুন যে জায়গায় সংঘাত হয়েছিল, সেখান থেকে অন্তত এক কিলোমিটার সরে গিয়েছে চিনের সেনা।

গালওয়ানে শিথিল হতে শুরু করেছে ভারত ও চিন সেনা সংঘর্ষ। শেষ ৪৮ ঘণ্টায় কূটনৈতিক, মিলিটারি এবং উচ্চপর্যায়ের টানা আলোচনার ভিত্তিতেই তা সম্ভব হয়েছে বলেই।

সীমান্ত সংঘর্ষের পরে কিছুদিন আগেই লাদাখের নিমু সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সীমান্তে দাঁড়িয়ে চিনের নাম না করেই পড়শি দেশকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে। ভারতীয় সেনাদের জন্য উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেহ ও লাদাখ পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে সেনাবাহিনী ও ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের মনোবল বাড়ান। দেশের জন্য যে ২০ জওয়ান শহিদ হয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি।

ইন্দো-চিন সীমান্ত সম্পর্কের ইতিহাসে ৪৫ বছর পরে এমন রক্তক্ষয় হয়নি সীমান্তে। চিনের সঙ্গে কোনভাবেই সমঝোতায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। পূর্ব লাদাখে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন তাই ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে কড়া প্রত্যাঘাত ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী ভারত। তাই অবৈধভাবে যারা ভারতীয় ভূখন্ড দখল করছে তাঁদের জন্য কঠোর বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.