আবারও ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সদ্য পাশ হওয়া বেআইনি কার্যকলাপ ও প্রতিরোধ সংশোধন বা ইউএপিএ আইনের দ্বারা বিশ্বের সন্ত্রাসে মদতকারীদের ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। তাই আবারও প্রশংসিত।
কেন্দ্রীয় সরকার জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার, লস্কর-ই-তৈবা প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সঈদ সহ আরও দু’জনকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করায় ভারতের প্রশংসা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রকের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আমরা ভারতের পাশে দাঁড়াচ্ছি। নতুন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মাধ্যমে চারজন কুখ্যাতকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার প্রশংসা করছি। যাদের মধ্যে রয়েছে, মওলানা মাসুদ আজহার, হাফিজ সঈদ, জাকি-উর-রহমান লাখভি এবং দাউদ ইব্রাহিম। এই নতুন আইন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ প্রয়াসে লড়াই করার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বুধবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার এবং তার সংগঠন প্রতিনিয়ত জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেয় এবং ভারত বিরোধী জঙ্গি কার্যকলাপে তাঁদের সংগঠন মানুষদের যুক্ত করার চেষ্টা করে। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা সহ একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগে আজহারের নাম নথিভুক্ত করা আছে।
এছাড়াও আগাম নির্দেশিকা জারি করে জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে এবং অবৈধ কাজকর্মের জন্য তার সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে ১৯৬৭ সালের আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন আইন অনুযায়ী মাসুদ আজহারের সংগঠন জয়েশ-ই- মহম্মদকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছে সরকার।
এছাড়াও লস্কর ই তইবার প্রধান জাকির উর রহমান লকভি ও ১৯৯৩-এর ধারাবাহিক বিস্ফোরণে সঙ্গে জড়িত মাস্টার মাইন্ড দাউদ ইব্রাহিমকেও এই নতুন ‘ইউএপিএ’ আইনে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।