অসুস্থ থাকায় স্বামীর কাছে ওষুধ কিনতে ৩০ টাকা চেয়েছিলেন যুবতী। আর তার জন্যই তাঁকে তিন তালাক দিলেন স্বামী। শুধু তাই নয়, যুবতীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলায়। যুবতীর মা অভিযোগ করেছেন, “আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাই ও স্বামীর কাছে ওষুধ কেনার জন্য ৩০ টাকা চেয়েছিল। কিন্তু এই নিয়ে ওদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপরেই জামাই আমার মেয়েকে তিন তালাক দিয়ে দেয়। ওদের দুটো বাচ্চাকেও মার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।”
যুবতী জানিয়েছেন, “আমার তিন বছর হলো বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর কাছে টাকা চাইতে গেলেই আমাকে কথা শোনায়। আমি ওষুধ কেনার জন্য ৩০ টাকা চেয়েছিলাম। সেটা তো দিলই না, উল্টে তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিল। আমি এখন মায়ের কাছে আছি। বাচ্চাগুলোকেও আমার কাছে আসতে দিচ্ছে না।”
এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যুবতী। হাপুর জেলার ডিএসপি রাজেশ সিং জানিয়েছেন, “আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। একজন যুবতী অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে কয়েকদিন আগে তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরা অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অগস্টের ১ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, তাৎক্ষণিক তিন তালাক এ বার থেকে আইনত অপরাধ। কোনও মহিলা যদি অভিযোগ করেন, জোর করে তাঁর স্বামী তাঁকে তালাক দিয়েছেন, তাহলে অভিযুক্তকে তিন বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। কিন্তু তারপরেও তিন তালাকের ঘটনা আকছাড় ঘটছে। ক’দিন আগেই এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছিলেন। সেই নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় যুবতীর ভাইয়ের সঙ্গে মারপিটও হয়েছিল ওই যুবকের।