তিনদিন ধরে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে চারজন। সেই অভিযোগ জানাতে থানায় পৌঁছালে স্টেশন হাউজ অফিসারও নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক ও বাকি ধর্ষকদের নামে এফআইআর করেন সেই নির্যাতিতা। তারপরই প্রকাশ্যে আসে পুরো ঘটনাটি। ললিতপুরের পুলিশ সুপার নিখিল পাঠক জানিয়েছেন, এসএইচও পালি তিলক ধরিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
নির্যাতিতার এফআইআরে বলা হয়েছে যে তাঁকে ২২ এপ্রিল চারজন লোক প্রলোভন দিয়ে ভোপালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে রেলস্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে রাখা হয়েছিল এবং তিনদিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। ২৬ এপ্রিল পালি থানা এলাকায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে তাঁর এক আত্মীয়র হেফাজতে রাখা হয়েছিল। নির্যাতিতাকে তাঁর বয়ান দেওয়ার জন্য ২৭ এপ্রিল থানায় আসতে বলা হয়েছিল।
পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী, নির্যাতিতার আত্মীয় তাঁকে এসএইচও-এর কাছে নিয়ে যান। যেই সময় নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছিল, তখন তাঁর আত্মীয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগ করা হয়েছে যে তাঁকে এসএইচও তাঁর চেম্বারে ধর্ষণ করেছে এবং পরে তাঁকে তাঁর আত্মীয়র কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। এরপর ৩০ এপ্রিল তাঁকে চাইল্ডলাইনের হেফাজতে দেওয়া হয়েছিল। এর মাঝে নির্যাতিতার বিষয়ে পুলিশ তাঁর বাবা-মাকে জানায়নি। কাউন্সেলিং চলাকালীন নির্যাতিতা তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান চাইল্ডলাইন বিশেষজ্ঞদের কাছে। এরপর চাইল্ডলাইনের কর্তারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আনেন বিষয়টি। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ললিতপুরের এসপি এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এসএইচও তিলকধারী, চন্দন, রাজ ভান, হরি শঙ্কর মহেন্দ্র চৌরাসিয়া এবং নির্যাতিতার আত্মীয় গুলাব বাই আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে ৩৬৩, ৩৭৬, ৩৭৬বি, ১২০বি এবং পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।