UNSC তে কাশ্মীর ইস্যুতে ৯ টি ভোটও সংগ্রহ করতে পারলো না পাকিস্তান-চীন।

কাশ্মীর ইস্যু পাকিস্তানের গলার কাঁটাতে পরিণত হয়েছে। তার পরের কী করা যায় তা তারা বুঝে উঠতে পারছে না। পুরো বিশ্বের সামনে ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়টি উত্থাপন করলেও, জাতিসংঘ সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রায় সব দেশই (চীন বাদে) এই ইস্যুতে ভারতের সাথ দিয়েছে। এখন কেবল চীনই রয়ে গেছে যারা পাকিস্তানের আবেদন শুনছে, সেও চাপের মধ্যে রয়েছে কারণ পাকিস্তানে চীনের অনেক ইনভেস্ট রয়েছে।

জাতিসংঘ সুরক্ষা কাউন্সিলের (ইউএনএসসি) মোট 15 জন সদস্য রয়েছে।

এর মধ্যে 5 টি স্থায়ী এবং 10 টি অস্থায়ী। অস্থায়ী সদস্যদের মেয়াদ কয়েক বছরের জন্য এবং স্থায়ী সদস্যরা দীর্ঘ সময়কালের জন্য। স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। অস্থায়ী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বেলজিয়াম, কোট ডি আইভায়ার, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, নিরক্ষীয় গিনি, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, পেরু, পোল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে চীনকে বাদ দিয়ে, বাকি দেশগুলি – ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকা পাকিস্তানকে ঝটকা দিয়েছে। তারা পরিষ্কারভাবে বলেছে যে কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, সুতরাং দুই দেশের মধ্যে কোনও তৃতীয় পক্ষের দরকার নেই।

শুধুমাত্র চীন পাকিস্তানে বহু টাকার ইনভেস্ট করে রেখেছে বলে পাকিস্তানের সাথ দিচ্ছে। অস্থায়ী ১০ টি দেশের মধ্যে পোল্যান্ডই একমাত্র যা পাকিস্তানের সাথে দাঁড়িয়েছে। যদিও এটি তাঁর কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা। তারা ভারত ও পাকিস্তানের এই বক্তৃতা থেকে নিজেকে অনেক দূরে রেখেছে, তবে পোল্যান্ড যেহেতু বর্তমানে ইউএনএসসির রোটেটিং প্রেসিডেন্ট, তাই তার সামনে বৈঠক করা শেষ বিকল্প। এর অর্থ এটা বোঝানো উচিত নয় যে কাশ্মীর ইস্যুতে পোল্যান্ড পাকিস্তানের সাথে রয়েছে।

জানিয়ে দি, UNSC বৈঠকে ভারতের উপর কোনো প্রভাব পরবে না। বৈঠক শুধুমাত্র স্থায়ী সদস্য চীনের অনুরোধে রাখা হয়েছে। তাও আবার বন্ধ দরজার মধ্যে বৈঠক হবে। অর্থাৎ বৈঠকের গুরুত্বকে একেবারে কমিয়ে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.