২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১.২ শতাংশ কমেছে বেকারত্ব। সংসদে এমনই জানালেন শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব। ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক দেবশ্রী চৌধুরীর একটি প্রশ্নের উত্তরে পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (পিএলএফএস) থেকে পাওয়া তথ্যকে উদ্ধৃত করে এই বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।
বিজেপি বিধায়ক দেবশ্রী চৌধুরী জানতে চেয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যুবকদের মধ্যে উচ্চ বেকারত্বের হারের তথ্য রাখছে কিনা। তার উত্তরেই শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন দেশে স্নাতক এবং নন-গ্রাজুয়েট উভয়ইদের তথ্যই ইঙ্গিত করে যে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তিদের বেকারত্বের হার স্নাতক ছাড়া সমস্ত শিক্ষার স্তরে হ্রাস পেয়েছে। গত তিন বছর ধরে স্নাতকদের বেকারত্বের হার প্রায় স্থিতিশীল।
রমমন্ত্রী যাদব একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, ২০১৯-২০ সালে বেকারত্বের হার ২০১৮-১৯ সালের ৫.৮ থেকে ৪.৮ শতাংশে নেমে এসেছে। যেখানে ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৬ শতাংশ। অন্যদিকে স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২০১৮-১৯ সালে ১৬.৯ শতাংশ থেকে ২০১৯-২০ সালে তা বেড়ে ১৭.২ শতাংশ হয়েছে। লোকসভার প্রশ্নোত্তরে নিজের বক্তব্য রাখার সময় ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন যে সরকার বেকারত্বের বিরুদ্ধে ‘সন্তোষজনক এবং যথাযথ’ পদক্ষেপ নেওয়ায় কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
শ্রমমন্ত্রী কর্মসংস্থানের হার এবং সুযোগের ‘বৃদ্ধি’র জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এবং বিভাগের অধীনে চালু করা বেশ কয়েকটি স্কিম এবং অন্যান্য কর্মসূচিরই প্রশংসা করেছেন। বেকারত্ব কমার কৃতিত্ব, মেক ইন ইন্ডিয়া, অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন, ন্যাশনাল স্মার্ট সিটি মিশন, পিএম আবাস যোজনা, পিএম গতি শক্তি, এবং স্বচ্ছ ভারত অভিযান সহ এই রকমই আরও কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পকেই এই কৃতিত্ব দিয়েছেন যাদব।