জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। নিরাপত্তার খাতিরে তাই অমরনাথ যাত্রীদের উপত্যকা ছেড়ে ভেরিয়ে আসতে বলা হয়েছে। পর্যটকদেরও যত দ্রুত সম্ভব পরিকল্পনা কাটছাট করে করে জম্মু ও কাশ্মীর ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বার নড়েচড়ে বসেছে আন্তর্জাতিক মহলও ব্রিটেন এবং জার্মানি প্রশাসন তাঁদের নাগরিকদের আপাতত জম্মু ও কাশ্মীরে বেড়াতে যেতে নিষেধ করেছে।
একটি বিবৃতিতে ব্রিটেন সরকার দেশবাসীকে সতর্ক করে জানিয়েছে, উপত্যকায় এখন বড়সড় হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। গ্রেনেড অ্যাটাক, বম্বিং, গুলিবৃষ্টি কিংবা অপহরণ—–সবকিছুই হতে পারে। নিরাপত্তার খাতিরে এখন যেন কেউ জম্মু ও কাশ্মীরে বেড়াতে না যান। তবে বিমানে করে জম্মু যাওয়া যেতে পারে। এবং শহরের মধ্যেই ঘোরাফেরা করা যেতে পারে। পাশাপাশি লাদাখ রিজিয়নেও যেতে পারেন পর্যটকরা। তবে শ্রীনগর, পহেলগাঁও, গুলমার্গ, সোনমার্গ, জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে—-এসব এলাকা এড়িয়ে চলাই ভালো। আর কেউ যদি এখন ওই অঞ্চলে থাকেন তাহলে সেখানকার প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলুন। সতর্ক থাকুন। প্রতি মুহূর্তের খবর রাখুন।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ধিঁলো জানিয়েছেন, অমরনাথের যাত্রা পথে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ল্যান্ডমাইন, যেখানে পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির ছাপ রয়েছে। এছাড়াও টেলিস্কোপিক ভিউয়ের ব্যবস্থা সম্পন্ন একটি এম-২৪ আমেরিকান স্নাইপার রাইফেলও পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন অমরনাথ যাত্রীদের উপর বড়সড় হামলার ছক কষেছিল। সম্ভবত সেই প্ল্যানে মদত ছিল পাক সেনাবাহিনীরও।
এরপরেই অমরনাথ যাত্রীদের উপত্যকা ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। যাঁরা অমরনাথ পৌঁছে গিয়েছেন, বা যাঁরা পথে রয়েছেন, সকলের উদ্দেশেই জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের পরামর্শ তাঁরা যেন নিজেদের প্ল্যান যত দ্রুত সম্ভব কাটছাট করে ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে যান। ১৫ অগস্ট পর্যন্ত চলার কথা ছিল যাত্রা।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ধিঁলো জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ লোক অমরনাথ গিয়েছেন। কোনও বিপদ-আপদ হয়নি। তবে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর বড়সড় ছক কষেছিল জঙ্গিরা। তাই নিরাপত্তার খাতিরে তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের মাঝপথেই যাত্রা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।