পণপ্রথা বিরোধী আইনকে কেন্দ্র করে বহু বছর ধরেই সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে। বহু বছর ধরেই পণপ্রথার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এসেছেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। তবে, এবার সম্প্রতি নার্সিং-এর অধীনে সোশিওলোজি বিষয়ের অন্তর্গত ‘পনপ্রথার উপকারিতা’ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই উঠল তুমুল ঝড়। এই বিষয়ের পক্ষে ও বিপক্ষে শুরু হয়ে গেল তর্ক-বিতর্ক।
সোশিওলজির একটি বই, লেখিকা টিকে ইন্দ্রাণী। সেই বইটির প্রসঙ্গ তুলে একটি পাতার ছবি পোস্ট করে ‘পণপ্রথার উপকারিতা’ সম্পর্কিত চ্যাপ্টারগুলো নিষিদ্ধ করার দাবি তুললেন শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। নিজ টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বইয়ের সার্কুলেশন বন্ধের দাবি করলেন তিনি। এমনকি নিজের পোস্টে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ট্যাগও করে ব্যাপারটিকে ‘লজ্জাজনক’ ঘটনা বললেন তিনি।
একদিকে, যেমন পণপ্রথা ঠিক কতটা খারাপ, সেই সচেতনতারই প্রচার করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। ঠিক সেখানেই সোশিওলজির এই ‘পণপ্রথার উপকারিতা’ সম্পর্কিত চারটি অধ্যায় মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। যদিও, একই সঙ্গে সমাজের প্রতি একটি প্রশ্নও উঠছে, আজ কাঠগড়ায় শুধু বইটি রয়েছে? না যারা এযাবৎ সত্যিই পণ নিয়েছে, কিন্তু উপহারের নামে স্বীকার করে করে না, তারাও রয়েছে? এও প্রশ্ন উঠছে যে, বইয়ে লিখিত শব্দগুলো কি পুরোই কাল্পনিক? না সত্যিই বাস্তবে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে?