লকডাউন নয়, কড়া ‘জনতা কার্ফু’ জারি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। মঙ্গলবার প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার, ১৪ এপ্রিল রাত ৮টা থেকে ১ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কার্ফু জারি থাকবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্ধব এক ভিডিয়োবার্তায় জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে কাজ করে চলেছে। কিন্তু যে ভাবে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর প্রবল প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘এখন রাজনীতি করার সময় নয়। প্রতিনিয়ত অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে, হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা কমে আসছে, ওষুধের চাহিদাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তাই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ পুরো মহারাষ্ট্রেই জমায়েত রুখতে জারি করা হচ্ছে জনতা কার্ফু। বিশেষ কারণ ছাড়া বাইরে বেরনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবা, প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে। তবে চালু থাকবে জরুরি পরিষেবা। খোলা থাকবে থাকবে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যবিমা অফিস, ওষুধের দোকান ও ওষুধ-কারখানা। স্যানিটাইজার, মাস্ক, টিকা সরবরাহ ও দেওয়ার কাজ চলবে সমান তালে। বিমান, ট্রেন, ট্যাক্সি, অটো, বাস চলবে। বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল। তবে রেস্তরাঁ থেকে শুধু খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। রাজনৈতিক সভা, বিয়ে বাড়ি ও শ্রাদ্ধের মতো অনুষ্ঠান করতে হবে নামমাত্র লোক নিয়ে। ইতিমধ্যেই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।