রামনবমীর মিছিল ঘিরে তুলকালাম বাঁকুড়ায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় পুলিশের। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মাচানতলার। রামনবমীর ওই মিছিলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। মন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর গাড়িতেও ঢিল পড়েছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ছোঁড়া ইঁটে আহত হন দুই পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। লাঠিচার্জও করা হয়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে। বাঁকুড়ায় মাচানতলায় পেট্রোল পাম্প মোড়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এই পেট্রোল পাম্প মোড় থেকে একটি রাস্তা সোজা চলে যায় মাচানতলার দিকে। রামনবমীর এই মিছিল সেদিকে এগোলে অশান্তি হতে পারে, এমন আশঙ্কা করেই পুলিশ ওই মিছিলকে পেট্রোল পাম্প মোড়ের কাছে আটকানোর চেষ্টা করে। তাতেই এই সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পরিস্থিত আগাম আঁচ করতে পেরে পুলিশ পেট্রোল পাম্প মোড়ে আগে থেকে ব্যারিকেড করে রেখেছিল। পর পর দুটি ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না বেরিয়ে যায়, তার জন্য আগে থেকেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিকে রবিবার বিকেলে রামনবমীর মিছিল শুরু হয়। বিশাল একটি মিছিল মাচানতলার দিকে এগোতে শুরু করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকের হাতেই অস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ উঠছে স্থানীয় সূত্রে। সেই মিছিল মাচানতলার পেট্রোল পাম্প মোড়ে পৌঁছাতেই পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশ ওই মিছিল মাচানতলার দিকে না গিয়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, তখনই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দিক থেকে ইট পাটকেল ছোড়া শুরু হয় পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে।
পেট্রোল পাম্প মোড়ের বর্তমান চিত্র থেকেই স্পষ্ট সেখানকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি। রাস্তার উপর ইট বর্ষণের চিত্র স্পষ্ট। এদিকে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরও ইট পাটকেল আসতে শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। উত্তেজিত জনতার ইট বর্ষণে দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর, অন্যদিকে পুলিশের পাল্টা লাঠিচার্জেও আহত হন কয়েকজন।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, পরিকল্পিতভাবে এই ঝামেলা করা হয়েছে। মিছিলের মধ্যে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা ঢুকে এই কাজ করেছে। যাতে এই মিছিল ভন্ডুল করা যায়। আমার গাড়ির উপর ঢিল পড়েছে।”