ভরসা ভারত! চিনকে রুখতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতিকে সমর্থন তাইওয়ানের, মুক্ত বাণিজ্যের ইঙ্গিত

দীর্ঘদিন ধরে চলছে চিন-তাইওয়ানের ঠান্ডা লড়াই। তৃতীয়বার দেশের সর্বেসর্বা হয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন শি জিনপিং। এই পরিস্থিতিতে ভারতের উপরই ভরসা করছে তাইওয়ান। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির প্রতি সমর্থন জানাল এই দ্বীপরাষ্ট্র।

ভারত সফরে এসেছেন তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী চেন চের্ন চাই। ‘ইন্ডিয়া-তাইওয়ান ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কলাবরেশন সামিট’ -এ যোগ দিতেই এই সফর। ভারতের চেম্বার অফ কমার্স এবং তাইওয়ানের ‘চাইনিজ ন্যাশনেল ফেডারেশন অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’ -এর যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলন হচ্ছে। সেখানে যোগ দিয়ে নয়াদিল্লিতে তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে পণ্য উৎপাদনের জন্য ভারত সবচেয়ে ভাল স্থান হতে পারে। ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া নীতিতে আমাদের সরকারের সমর্থন রয়েছে। আমাদের সংস্থাগুলি ভারতীয় কোম্পানি গুলির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী’। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নয়াদিল্লির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ইঙ্গিতও দিয়েছে তাইপেই।

২০২০ সালে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের জেরে তাইওয়ান নীতি নিয়ে সক্রিয় হয়েছিল নয়াদিল্লি। উদ্দেশ্য, চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া। ঘটনাচক্রে, সেই বছরই তাইওয়ানের তিনটি বেসরকারি সফ্টওয়্যার প্রযুক্তি সংস্থাকে ভারতে লগ্নির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এ বার তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রীর সফরে সে দেশের আরও লগ্নির ভারতে আসার পথ তৈরি হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

২০২০ সাল থেকে লড়াই শুরু করলেও, কিছুতেই করোনা ভাইরাসকে বাগে আনতে পারছে না চিন। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই জারি করতে হচ্ছে লকডাউন। এই অবস্থায় সেদেশের ঝেংঝউ প্রদেশ, যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম আইফোনের কারখানা রয়েছে, সেখান থেকে শয়ে শয়ে কর্মীদের রীতিমতো বেড়া ডিঙিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির ‘জিরো কোভিড পলিসি’ র জন্য বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। ফলে লগ্নির জন্য বিকল্প হিসেবে ভারত আদর্শ জায়গা হয়ে উঠতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.