সন্ত্রাসবাদী তথা জেহাদিদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে , ইচ্ছা করে অতি সুকৌশলে লাইক কমিয়ে দেওয়া হবে ফেস বুকে।
ফেসবুকের (Face Book) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয় , পুরানো। ওই জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের বিরুদ্ধে এই প্রকার অভিযোগ নেই এমন কোনো দেশ বা উপমহাদেশ পাওয়া যাবে না।
ভারত , বাংলাদেশ , ইসরায়েল , রাশিয়া , আমেরিকা , ইউরোপ , সর্বত্রই একই অভিযোগ ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
এমননকি কিছুদিন আগে জার্মান বংশোদ্ভূত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেই বসলেন যে তালিবানদের বিরুদ্ধে বলায় ফেসবুক (face book) তাঁর টুইটার(tweeter) একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে অথচ তালিবান (Taliban) কমান্ডার থেকে শুরু করে ইসলামিক স্টেটের (Islamic State) কমান্ডার তথা জিহাদি তথা জঙ্গিদের ফেস বুক , টুইটার একাউন্ট রমরমিয়ে চলছে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই অভিযোগ যে মিথ্যে নয় তার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
তবে ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ফেসবুকের ভরসায় না থেকে নিজের ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি (information technology company) খুলতে চলেছেন যার মাধ্যমে শীঘ্রই ফেসবুক ছাড়াও একটি নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম (social media platform) আসতে চলেছে এই সামনের বছর।
তবে এরই সাথে ফেসবুকের সাথে যুদ্ধং দেহি মেজাজে একপ্রকার যুদ্ধে নামলো ইসরায়েল (Israel)।
জেরুসালেমে প্যালেস্টাইনে মিডিয়া ওয়াচের (Palestine Media Watch , Jerusalem) একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনে নামলো ইসরাইলের গোয়েন্দা বিভাগ।
ফেস বুক ও টুইটার এ ইহুদি ও খ্রীষ্টান বিদ্ধেষ সহ সমস্ত অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদ্গার করে যাচ্ছিল প্যালেস্টাইনের নেতা ফাতাহ (Fatah)। বার বার অনুরোধ করেও তাকে ক্ষান্ত করা যায়নি। এর পর ফাতাহ-এর বিরুদ্ধেও একের পর এক পোস্ট আস্তে থাকে ফেস বুক ও টুইটার-এ। খুব অবাক করে জিহাদি ফাতাহর বিরুদ্ধে যারা পোস্ট করছিলেন তাদের লাইক কমতে থাকে , অনেকের একাউন্ট বন্ধও করে দেওয়া হয়।
এর পরেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন ইসরাইলের নেটিজেনরা। মিডিয়া ওয়াচ থেকে এই মর্মে থানায় অভিযোগও করা হয় , আর এর পরেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইসরাইল-এর পুলিশ।